🐻‘ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করুন!’ প্রায় এই ভাষাতেই এক টুইটার-ব্যবহারকারীকে ধমকে দিলেন গওহর খান। যাঁকে ধমকালেন, তাঁর বক্তব্য ছিল, ভারতে হিন্দু এবং মুসলমানদের ব্যক্তিজীবনের জন্য আলাদা আইন থাকা উচিত নয়। ভারতে সকলের জন্য দরকার ‘Uniform Civil Code’। এই দাবি প্রসঙ্গে গওহর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। মুসলমানদের নিজেদের অধিকার থেকে কেউই বঞ্চিত করতে পারেন না।
বিবাহ, সম্পত্তির উত্তরাধিকারের মতো ব্যক্তিজীবন-কেন্দ্রিক বিষয়গুলির ক্ষেত্রে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব ভারতীয়ের জন্য একই আইন চেয়ে ‘Uniform Civil Code’-এর দাবি। যদিও বর্তমানে ব্যক্তিজীবন-কেন্দ্রিক এই সব বিষয়গুলির জন্য আলাদা আলাদা ধর্মের মানুষের ক্ষেত্রে পৃথক আইন বলবৎ রয়েছে। সেই আইন তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধর্মের আলাদা আচ༺ার এবং♔ রীতির উপর ভিত্তি করেই।
এই প্রসঙ্গেই ওই টুইটার-ব্যবহারকারী লিখেছিলেন, ‘ভারতের বাইরে কেউ জানেন না যে, ভারতে এখনও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা পারিবারিক আইন রয়েছে। হিন্দুদের ধর্মনিরপেক্ষ আইন মেনে চলতে হয়। মুসলমানরা সেখানে👍 ৪ জন স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে পারেন, স্ত্রী এবং কন্যাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে পারেন।’ এর সঙ্গে ওই টুইটার-ব্যবহারকারী সব ভারতীয়ের জন্য #UniformCivilCode-এর দাবি তোলেন।
এ প্রসঙ্গেই সোশ্যাল ম▨িডিয়ায় সরব হন গওহর। তিনি যা লেখেন, তার বাংলা করলে অনেকটা এরকম দাঁড়ায়— ‘আরে মূর্খ! আমি এক⛎জন মুসলমান, আমাদের নিজেদের অধিকার পাওয়া থেকে কেউই বঞ্চিত করতে পারেন না। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আপনারা যেমন চান, তেমন স্বৈরতান্ত্রিক দেশ নয়! আপনি আরামে আমেরিকায় থাকুন, আমার দেশে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করুন!’
মডেল হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন গওহর। তার পরে বলিউডে বেশ কিছু ছবিও করে ফেলেছেন। প্রথম ছবি ‘রকেট সিং’। ত﷽ার পরে একে একে ‘গেম’, ‘ইশকজাদে’, ‘ফিভার’, ‘বদ্রিনাথ কি দুলহনিয়া’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন। এছাড়াও প্রচুর রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্বও পালন করেন গওহর।