শহরের মধ্য বয়সের উকিলবাবু বিয়ে করে এনেছেন হাঁটুর বয়সী গ্রামের মেয়েকে। বয়সের এত ফারাক, দুজনের স্টেটাস মেলে না- তাই অরিন্দম-নোলকের বিয়ে নিয়ে সবাইয়ের শুরু থেকেই নাক সিঁটকানি। যদিও কৌশিক সেন এবং সমু সরকারের অসমবয়সি এই প্রেমের গল্পে মজেছেন টেলিভিশন প্রেমী বাঙালি। রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশনের ‘গোধূলি আলাপ’ অল্প কয়েক🌄দিনের মধ্যেই দর্শক মনে জায়গা করে নিতে সফল হয়েছে। টিআরপি তালিকায় খুব বেশি সাড়া না ফেললেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দারুণ জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক।
রায়বাড়ির বেশিরভাগ সদস্যই সহ্য করতে পারে না বহুরূপী নোলককে। অরিন্দমের জীবন থেকে নোলক যাতে দূরে সরে যায়, ꦛসেই চেষ্টায় ততপর অনেকেই।
এদিকে মনে মনে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেললেও মুখে সেই কথা বলতে চান না নোলক-অরিন্দম। অথচ দুজনের রোম্যান্স দেখতে উদগ্রীব দর্শক। এর মাঝেই কাহানিতে নতুন টুইস্ট। সিরিয়ালের নতুন প্রোমো দেখে তো চোখ ছানাবড়া সব্বার। নিজের বরের জন্য ꧋নতুন পাত্রী খুঁজছে সে। হ্যাঁ, অরিন্দমের আবার বিয়ে দেবে, এমনটাই স্থির করেছে। যদিও মনে মনে সে নিশ্চিত উকিলবাবু তাঁরই!
প্রোমোতে দেখা গেল, সম্ভাব্য পাত্রীদের ছবি নিয়ে রায় বাড়িতে হাজির ঘটক। অথচ নোলক যেই বলেছে পাত্র হল তাঁর বর, অমনি বিষম খায় ঘটক। এক গ্লাস খেয়েও তাঁর বিষম কমছে না। এরপর আরও এক ধাপ এগিয়ে নোলক জানায়, অরিন্দমের জন্য কেমন পাত্রী চꦜাই। দেখতে সুন্দর, শিক্ষিতা এবং অবশ্যই ভালো ঘরের মেয়ে- এই তিনটে কোয়ালিটি থাকলে তবেই সে হতে পারবে রায় বাড়ির যোগ্য বউ। পাশাপাশি সে বলে, ‘আপনি যে সব পাত্রীদের ছবি এনেছেন, তাঁদের মাসি, পিসি, দিদি-তাদের ছবি থাকে, সেও দেখাতে পারেন’।
সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো নোলককে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে অরিন্দম। তবুও তাঁদের ‘না বলা প্রেম’ যেন শেষ হচ্ছে না! জুটির প্রেমের পরিণতির অপেক্ষায় দর্শক। অনেকেরই নির্মাতাদের কাছে দাবি, ‘এবার তো নোলক-অরিন্দমের ইতিবাচক প্রেম দেখানো শুরু করুন’। কীভাবে সমাজের সব বাধা পেরিয়ে কেবল ভালোবাসার জোরেই একটা অসমবয়সী প্রেম পূর্ণতা পায়, তাই এই সিরিয়ালের মূল উপজীব্য, তাই এত তাড়া💃তাড়ি লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না সেটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে খুব শীঘ্রই সময় পালটাচ্ছে ‘গোধূলি আলাপ’-এর। আগামী সোমবার থেকে রাত ১০.৩০টার স্লটে দেখা যাবে এই ধারাꩲবাহিক।