সইফের ডিভোর্সি তকমা, বয়সের ফারাক কিংবা ভিনধর্মের বিয়ের ভয়, কোনও কিছুই কাজ করেনি করিনার মনে। ভালোবেসে শক্ত করে ধরেছিলেন মনের মানুষের হাত। আর দেখতে দেখতে সম্পর্কের চড়াই-উতরাইয়ের ১২ বছর পার করে ফেললেন দুজনে। হ্যাঁ, ২০১২ সালের আজ♏কের দিনেই൲ নিকাহ সেরেছিলেন করিনা।
পতৌদির নবাবকে বিয়ে করলেও ধর্ম বদলাননি কাপুর খানদানের এই কন্যে। সইফের ﷽সহকর্মী করিশ্মার ছোট বোন করিনা। এই সূত্রেই প্রথম আলাপ দুজনের। এক ছবির সেটে ‘বাচ্চা মেয়ে’ করিনাকে প্রথম দেখেন সইফ। সেই মোলাকাত নিয়ে একবার শাহরুখের সামনে অকপটে কথা বলেছিলেন সইফিনা। এক রিয়ালিটি শো-এর সেটে সঞ্চালক শাহরুখকে সইফ জানান, ‘আসলে আমি যখন প্রথমবার কিনাকে দেখেছিলাম, আমি ফিল্মস্তান স্টুডিওতে শ্যুটিং করছিলাম, দেখলাম একটা ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে মেকআপ রুমের বাইরের দেওয়ালে ঠেস দিয়ে চুপটি করে বসেছিল। আর আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি কাউকে জিগ্গেস করেছিলাম মেয়েটা কে? সে জানিয়েছিল এ করিনা কাপুর, করিশ্মার ছোট বোন। আমার ওইদিন দেখেই মনে হয়েছিল মেয়েটা খুব সুন্দরী, আর আমার মনে হয় ওইদিন থেকেই করিনাকে আমার🥀 ভালো লেগেছিল’।
এমনও রটনা রয়েছে করিনা নাকি সইফের প্রথম বিয়ের ভোজ খেতেও হাজির ছিলেন। যদিও সেই কথা কোনওদিন সইফ বা করিনার মুখে শোনা যায়নি। প্রসঙ্গত, করিনাকে বিয়ের আগে সইফ আলি খান ১৩ বছরের বড় অমৃতা সিংকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে, সারা আলি খান, ইব্রাহিম আলি খান। ২০০৪ সালে সইফ-অমৃতার বিব🤡াহ-বিচ্ছেদ হয়। এরপরেও বিদেশিনি রোজার সঙ্গে লিভ ইনে ছিলেন সইফ। ২০০৮ সালে শেষ হয় সেই সম্পর্ক।
শাহিদ-করিনার সম্পর্কে তখন দূরত্ব তৈরি হয়েছে, ২০০৮ সালে টশন ছবির সেটে কাছাকাছি আসেন সইফ-করিনা। সেই শুরু। এরপর বছর চা⭕রেক চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১২ সালে বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেন দুজনে। তাঁদের দুই সন্তান তৈমুর আলি খান এবং জাহাঙ্গীর আলি খান।
সইফ-করিনার বয়সের ফারাক কত?
সইফের জন্ম ১৯৭০-এ, আর করিনার জন্ম ১৯৮০তে। স্বামীর চেয়ে পাক্কা ১০ বছরের 💫ছোট করিনা। তবে তাতে কী! বয়সের ব্যবধান কখনওই সইফ-করিনার সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
সইফের সঙ্গে বয়সের ব্য💝বধান নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেছিলেন, ‘বয়স কখনওই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার তো মনে হয় সইফ বয়স বাড়ার সঙ্গে এখন আরও বেশি আকর্ষক। আমি খুশি যে ওর থেকে আমি ১০ বছরের ছোট, এটা বরং সইফের চিন্তার বিষয়। যদিও ওকে দেখলে কেউ বলবে না যে ওর বয়স ৫৩। বয়স কোন ব্যাপারই নয়। যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল পরস্পরের প্রতি সম্মান, ভালবাসা এবং আমরা একে অপরের দিব্য়ি আনন্দে আছি।’