১৯শে জানুয়ারি আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম আইকন অঞ্জন দত্তের জন্মদিন। উইকিপিডিয়ার সূত্র বলছে ‘বেলা বোস’-এর স্রষ্টা আজ ৭১-এ💞 পা দিলেন। দার্জিলিঙের সেন্ট পলস স্কুলে গোড়ার জীবন কাটানো অঞ্জন বাঙালিদের কাছে প্রথম পরিচিত হয়ে ওঠেন অভিনেতা হিসাবে। কিন্তু গানই অঞ্জনের প্রথম ভালোবাসা।
নিজের আত্ম-কথন ‘অঞ্জন যাত্রা’য় প্রথম জীবনের প্রেম নিয়ে খোলামেলা আড্ডা দিয়েছেন অঞ্জন দত্ত। সাজ্জাদ হুসাইনকে তিনি জানান, ‘আমি প্রথম প্রেম অথবা পিউবার্টি (বয়ঃসন্ধি) অনুভব করেছিলাম আমার ইংরাজি শিক্ষিকার সানিধ্যে আসার পর। তিনি ছিলেন আমার মায়ের বয়সী। সেটা ছিল আমার জীবের সবচেয়ে সুন্দর সময়। আমার শিক্ষিকাকে নিয়ে ফ্যা💛ন্টসাইজ করা, উনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন আমার অভিনয় আর গান গাওয়ার ক্ষমতা। জানি না উনি কখনও বুঝেছিলেন কিনা আমা🐬র ভিতরের অনুভূতি।’
নিজের সেই গোপন অনুভূতি প্রকাশ করতে না পেরে বিপথে হাঁটার তাগিদ জন্মেছিল অঞ্জন দত্তর মধ্য়ে। স্কুলে পড়তেই প্রথম বিয়ারের গ্লাসে চুমুক, প্রথম সুখটান দেন অঞ্জন। বন্ধুর ব্লেজার চুরি করে ধরাও পড়েন স্কুলজীꦜবনে। মার খান, তবে ঘুরে দাঁড়ান।
𝓀কৈশোর বয়সেই প্রথম চুমু খান অঞ্জন। কখনও ১৪-র গণ্ডি পার করেননি। তাঁর কথায়, ‘আমার তখনও ১৪ হয়নি। স্কুল সোশ্যালে, হলের পিছনে একটা মেয়েকে চুমু খাই। ওর বয়সও আমারই মতো। ওঁকে চিনতাম না, পরেও আর কোনওদিন দেখা হয়নি। মেয়েটা চুইনগাম চেবাচ্ছিল তবে,তবে দুর্দান্ত অনুভূতি।’
জীবনে অনেকবার প্রেমে পড়েছেন স্বীকার করে নেন অঞ্জন দত্ত। তবে বড্ডꦚ কম বয়সে বিয়ে করেছিলেন, জানান খানিক খেদ নিয়েই। বাবা হওয়ার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন না। তবে হঠাৎ করেই পিতৃত্বে পা দেন। বাবা বা স্বামী হিসাবে তিনি অনেকসময়ই ‘আপদ’ তবে স্ত্রী ছন্দা বা ছেলে নীল সর্বদা তাঁর পাশে থেকেছে, জানান অঞ্জন দত্ত।
‘ওপেন থিয়েটার’ নামক নাটকের দলে কাজ করার পাশাপাশি তিনি সিনেমার জগতেও কাজ করা শুরু করেন। মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘চালচিত্র’-এ তাঁর অভিনয় বিদেশের নানা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়। এর পরে ‘খারিজ’, ‘গৃহযুদ্ধ’, ‘মহাপৃথিবী’, ‘অন্তরীণ’-✃এর মতো ছবিতে প্রশংসা কুড়োয় তাঁর অভ⭕িনয়। একটা সময় অঞ্জন দত্ত ভেবেছিলেন সৌমিত্রর পর সমসাময়িককালে তিনিই বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক হবেন, কিন্তু তেমনটা ঘটেনি।
১৯৯৪ সালে প্রথম গানের জগতে আসেন অঞ্জন দত্ত। প্রথম অ্যালবামের নাম ‘শুনতে কি চাও’। পরে বহু সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গানের প্রতি ভালোবাসা, পশ্চিমের সঙ্গীতের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু কখনও ভাবেননি, গানকে পেশা হিসাবে বেছে নেবেন। যদিও নিতে হয়েছিল। তার কারণ বলতে গিয়ꩵে অঞ্জন বলেছেন, উপার্জনের তাগিত। বাণিজ্যিক ছবিতে বিশেষ দেখা যেত না তাঁকে। তাই অভিনয় করে প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করতে পারতেন না। সেই কারণেই গানের হাত ধরারও চেষ্টা।
নতুন শতাব্দীতেও অঞ্জন দত্ত 🌊‘দ্য বং কানেকশন’, ‘রঞ্জনা আমি আর আসবো না’, ‘চলো…লেট’স গো’, ‘দত্ত ভার্সাস দত্ত’, ‘ম্যাডলি বাঙালি’, ‘শেষ বলে কিছু নেই’, সহ ব্যোমকেশ সিরিজের বেশ কিছু সিনেমা পরিচালনা করেছেন। ব্যোমকেশের ܫসঙ্গে সম্পর্ক অবশ্য বর্তমানে ছিন্ন করেছেন অঞ্জন। তাঁর গান, তাঁর অভিনয়ে আজও মুগ্ধ আপামর বাঙালি। অঞ্জন-যাত্রা এইভাবেই অটুট থাকুক।