বয়স নিয়ে লুকোছাপা না-পসন্দ তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়াতে স্পষ্টবক্তা হিসাবে পরিচিত ইমন চক্রবর্তী বাস্♎তবজীবনেও কিন্তু বেজায় ঠোঁটকাটা। আরজি কর কাণ্ডের জেরে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য, মন খারাপের আবহ চারিদিকে। এর মাঝ🔯েই ৩৫তম জন্মদিনের কেট কাটলেন ইমন চক্রবর্তী।
প্রথম দিন থেকে আরজি করের নক্কারজনক ঘটনা নিয়ে সরব ইমন। দু-দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বিচারও চাই, উৎসবও চাই’, এমন কথা লেখায় চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল ইমনকে। আরজি কর পরিস্থিত⛦িতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সফট টার্গেট’ সেলিব্রিটিরা। ইমনও রেহাই পাননি। এবারের জন্মদিনটা অন্য় বারেরꦅ চেয়ে আলাদা।
ইমন জানিয়েছেন, এই বছর জন্মদিনের রাতে শো করবেন তিনি। গোটা মাস জুড়ে যে ক'টি শো ছিল তা বাতিল হয়েছে। রুজি রোজগারের কথা ভেবে জন্মদিনে কর্মব্💧যস্ত গায়িকা। তবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্বামী নীলাঞ্জন ও কাছের মানুষদের নিয়ে এক দফা সেলিব্রেশন চলেছে। বেলুন আর ফেস্টুনে সাজানো ঘরে কেক কাটেন ইমন। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন গায়িকা।
জন্মদিনে টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমন বলেন, ‘আরজ🌃ি কর-এ যে নৃশংস ঘ✱টনাটা ঘটল, সেটা মাথার মধ্যে ঢুকে যাওয়ার পর মাথার অর্ধেকটা কাজ করছে না। তার সঙ্গে শিল্পীদের উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কদর্য আক্রমণ হচ্ছে, যে অসভ্যতা হচ্ছে, সেটায় আমি ভীষণ বিচলিত।’
শিল্পী মানেই তাঁর মধ্য়ে অশেষ ধৈর্য্য থ𝓀াকতে হয়, একথা জেনেও ইমনের মনে ভয়। তাঁর চোখে এটা কোভিডের চেয়েও খারাপ সময় শিল্পীদের জন্য। তাঁর প্রশ্ন, সব পেশার মানুষ কাজ করছে, আর শিল্পীরা কাজ করলেই দোষ? একটা সময় ডিপ্রেশন ঘিরে ধরেছিল ইমনকে। শিল্পীর ভয় সেই ডিপ্রেশন না মাথাচাড়া দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইমনের পুরোনো এক ছবি এই মুহূর্তে সোশ্যালে ভাইরাল। সেই ছবির উপর ক্রস চিহ্ন দিয়ে ইমনকে বয়কটের ডাক উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে বার্থ ডে গার্ল জানালেন,'মুখ্যমন্ত্রীর আমার গান পছন্দ, সেটা আমার দোষ নয়! এই ধরনের অসভ্যতা যাঁরা করছেন, তাঁদের বলি, বিনোদনকে এত হালকাভাবে নেবেন না। যে কোনও পেশার মানুষ সারা দিন পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরে হয়তো গান শুনে কিছুটা ভালো সময় কাটান। তাই সিনেমা, গান এগুলো থামবে না।….শ🍃িল্পীরা প্রতিবাদ করলে ‘রাম-বাম’ বলা হচ্ছে। আর প্রতিবাদ না করলে ‘চটিচাটা’ বলা হচ্ছে! শিল্পী তাঁর কাজ করলে, বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।'
জন্মদিনে ইমনের একমাত্র প্রার্থনা, আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী বিচার পাক। দোষীদের চরম এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। পাশাপাশি দেশজুড়ে মেয়েদের উপরযে অত্যাচার, যে অশালীন আচরণ চলছে সেটাও বন্ধ হওয়া দরকার। ইমন জানালেন, ‘মহিলাদের সেক্স অবজেক্ট হিসাবে দেখা বন্ধ হোক। একজন মহিলার শরীরের দিকে যে কোনও সময় তাকিয়ে যৌন-ভাবনা ভাবা যায় না, সেই শিক্ষা যেন💜 পুরুষদের হয়!’