উদিত-পুত্রের ভাইরাল কীর্তি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার 💛শেষ নেই। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের ভিলাইয়ের রুংটা আর ২ কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার ফাঁকে আচমকাই হিংসাত্মক হয়ে ওঠেন আদিত্য নারায়ণ। এবং এক অনুরাগীকে মাইক দিতে আঘাত করেন ও তার ফোন ছুড়ে ফেলে দেন। সেই ভিডিয়ো ঘিরে নিন্দার ঝড় সোশ্যালে। অনেকের চোখেই আদিত্য়রไ এই কীর্তি নিন্দনীয়। এই প্রথমবার নয়, আগেও নিজের আচরণের জন্য় সোশ্যাল মিডিয়ায় সমলোচনার শিকার হয়েছেন উদিত-পুত্র।
যদিও আদিত্যর হয়ে সাফাই গেয়েছেন ওই অনুষ্ঠানে ইভেন্ট ম্য়ানেজার। তাঁর দাবি ওই ব্যক্তি কলেজের ছাত্রই নন এবং অকারণে আদিত্যকে বিরক্ত করছিল সে। কিন্তু সেই দাবি নস্য়াৎ করেছে আদিত্যর হাতে মার খাওয়া রুংটা আর ২ কলেজের শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র লোভকেশ চন্দ্রবংশি গায়কের হাতে হেনস্থার শিকার হন।ജ ফোন ছোড়ার ঘটনায় ওই ছাত্র জানিয়েছেন,'আদিত্য স্যারকে সকলেই ফোন দিচ্ছিল উনি সেফলি তুলে ফোন দিয়ে দিচ্ছিলেন। আমিও ফোন এগিয়ে দিই। তাতেই রেগে গিয়ে ফোন হাত থেকে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেন। আমাকে মাইক দিয়ে দু-বার মারেন। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন করলেন তাঁর কারণ বুঝতে পারলাম না।’ ওই ছাত্রের ছুড়ে ফেলা ফোন দু-টুকরো হয়ে গিয়েছে।
জুমকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আদিত্যও বলেন, ‘সত্যি বলছি, নো কমেন্টস। আমি শুধু সর্বশক্তিমানের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। এটুকুই’।
কী ঘটেছিল কনসার্টে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ২০০৬ সালের ডন চলচ্চিত্রের ‘আজ কি রাত’ গাইছিলেন আদিত্য। গায়ক যখন মঞ্চে হাঁটছিলেন, তখন তিনি দর্শকদের মধ্যে একজন ভক্তের দিকে তাকানোর জন্য থামলেন। এরপর তিনি তার হাত🍒 থেকে ফোন টেনে নেন এবং হাতের মাই🐻ক নিয়ে ওই ব্যক্তিকে দু-বার আঘাত করে। এর পর আদিত্য ওই যুবকের ফোনটি হাতে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
ভিডিওটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়াযꦦ় গায়কের সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই। এর আগে ইভেন্ট ম্যানেজার দাবি করেছিলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি কলেজের ছাত্র নন। তাঁর দাবি, পা টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় গায়ক সেটি হারিয়ে ফেলেন।
আদিত্যর পাশে ইভেন্ট ম্যানেজার
প্রকাশে অনিচ্ছুক ইভেন্ট ম্যানেজার জুমকে একটি ভিন্ন সাক্ষাত্কারে জানান, 'ছেলেটি কলেজের ছাত্রও ছিল না, সে অবশ্যই কলেজের বাইরের কেউ হবে। অনবরত আদিত্যর পা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তিনি খুব বিরক্ত ছিলেন। আদিত্যর পায়ে একাধিকবার ফোন ঠুকে দেন তিনি। এরপরই মেজাজ হারান তিনি। এই ছাত্রের সঙ্গে প্রায় ২০০টি সেলফি তুলেছেন তিনি। এ ছাড়া পুরো কনসার্টটি মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনไার পর প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে অনুষ্ঠান। ছাত্র ঠিক থাকলে সে এগিয়ে আসত।
ইভেন্ট ম্যানেজারের ভূমিকায় দেখে হতবাক অনেকেই। তিনি জানান, ওই যুবক 💮ক্রমাগত আদিত্যর পা ধরে টানছে, যদি পড়ে যেত? এই ছেলেটি যদি সঠিক হত তবে সে এগিয়ে আসত এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলত যে তার সাথে এই ঘটনা ঘটেছে। আমি বহু বছর ধরে কলেজের সাথে যুক্ত এবং তাদের এর মতো ভাল কনসার্ট কখনও হয়নি। তারা নিজেরাই এ কথা বলেছে,' বলেন ম্যানেজার।