বৃহস্পতিবার ৬২ তে পা রাখলেন জনপ্রিয় বলি-নায়ক সঞ্জয় দত্ত। যেকোনও রহস্য রোমাঞ্চের সিনেমার গল্পের চিত্রনাট্যের মতোই এগিয়েছে এই তারকার ব্যক্তিগত জীবনও। অল্প বয়সে মা-কে হারানো থেকে শুরু করে মাদক আসক্ত হওয়া। সেখান থেকে সুস্থ স্বাভাবিক জ𒀰ীবনে ফেরা। এরপর জঙ্গি আইনে জেল পর্যন্ত খাটা। সবমিলিয়ে যেন 'সঞ্জু'-র জীবন বিতর্কে ভরা এক 'রোলার কোস্টার রাইড'. তবে জীবনে জনপ্রিয়তা, বিতর্ক এবং হরেক রং থাকলেও মানসিক শান্তি তেমন করে কোনওদিনই তিনি পাননি। ২০০৬ সালে ছোটপর্দার জনপ্রিয় চ্যাট শো ' রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল'-এ এসে একথা নিজের মুখে স্বয়ং জানিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। তবে তা সত্ত্বেও কোনওদিন ভেঙে পড়েননি তিনি। হারাননি মনের জোর।
১৯৯৭ সালে সিমির ওই শো-তে এসে সঞ্জয়ের মনের জোরের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন তাঁর বাবা তথা প্রখ্যাত অভিনেতা-রাজনী😼তিবিদ সুনীল দত্ত। ছেলের ওই মনের জোরের আঁচ যে তাঁর হৃদয় ছুঁয়েছিল সেকথাও স্বীকার করতে কোনও কার্পণ্য করেননি 'দত্ত সাহাব' .এক ধাপ বাড়িয়ে বলেছিলেন ওরকম অবস্থাতেও 'সঞ্জু' যেভাবে তাঁর মনের জোর বাড়িয়ে দিয়েছিল এক লহমায়, তাতে বাবা হিসেবে অত্যন্ত গর্বিত হয়েছিলেন তিনি। 'আমার এখনও স্পষ্ট মনে রয়েছে সেইদিনের কথা যেদিন সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও সঞ্জয়ের জামিনের আবেদন খারিজ কর𝔍ে দিয়েছিল আদালত। ফলে সেখান থেকেই ফের সোজা জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওঁকে। আমাদের সবার সামনে সঞ্জয়কে হাত কড়া পরানো হচ্ছিল। সেই দৃশ্য দেখে প্রথমবারের জন্য মনে হয়েছিল সারাজীবন ধরে দেশের জন্য যেভাবে সেবা করেছি তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি আমি। নইলে এদিন আমাকে দেখতে হতো না। একজন বাবা হিসেবে একটু একটু করে ভেঙে পড়ছিলাম। দুঃখে,কষ্টে চোখ ঠেলে জল আসা সত্ত্বেও কোনওরকমে নিজেকে শক্ত রাখছিলাম। ভাবছিলাম আমাকে সে অবস্থায় দেখলে হয়ত সঞ্জু আরও ভেঙে পড়বে। হয়ত সেকথা বুঝতেও পেরেছিল সে।
তাই কাছে এসে আমার হাত আলতো করে ধরে নরম স্বরে বলে উঠেছিল,🍬 এসব স্রেফ রুটিনমাফিক কাজ। ওঁদের করতেই হবে। আমি যেন এসব নিয়ে একেবারেই না ভাবি। বলার সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে নিজেই মজা করে হাঁক দিয়ে ডেকে হাতকড়া পরানোর জন্য বলেছিল। সেই মুহূর্তে নিজের ছেলের জন্য দারুণ গর্ব হয়েছিল আমার', সোজাসুজি জানিয়েছিলেন সুনীল দত্ত।
এর কয়েক বছর সঞ্জয় যখন সিমির এই চ্যꦦাট শো-তে হাজির হয়েছিলেন তখন তাঁকে 'দত্ত সাহাব'-এর এই ভিডিওর অংশ দেখানো হয়। 'খলনায়ক' জানিয়েছিলেন তাঁকে ওরকম ব্যবহার করতেই হতো তাঁর বাবার মনোবল বাড়ানোর জন্যে। 'বুঝতে পেরেছিলাম আর একমুহূর্তে দেরি করলে ভেঙে পড়বেন উনি। যা আমার পক্ষে দেখা আরও অসম্ভব। একঘর মানুষ, সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছুতেই নিজের বাবাকে ওই অবস্থায় দেখতে চাইনি!', অকপটে জানিয়েছিলেন সঞ্জয়।