বিনোদন দুনিয়ার এখন বেশ পরিচিত মুখ অর্চনা গৌতম। বিশেষ করে বিগ বস ১৬-তে প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের মনোযোগ কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। নিত্যদিনই বিগ বসের অন্যান্য সহযোগীদের ঝগড়ায় জড়াতে দেখা যেত তাঁকে। সেবার বিগ ব🏅সের প্রতিযোগীদের মধ্যে শীর্ষ তালিকায় অন্যতম নাম ছিল তাঁর। সিজনের ৩য় রানার্স-আপ হওয়ার পর, স্টান্ট-ভিত্তিক রিয়ে🔯লিটি শো ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’ ১৩-তে অংশ নিয়েছিলেন অর্চনা। সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্চনা কীভাবে ছোট শহর থেকে একদিন মুম্বইতে এসে পৌঁছেছিলেন সে বিষয়ে খোলসা করেছেন।
নিজের স্ট্রাগল পরিয়ডের কথা বলেছেন অর্চনা গৌতম। তাঁর কথায়, তিনি এমন একটা জায়গা থেকে এসেছেন, যেখানে নাকি সামাজিক চাপে মেয়েদের স্বপ্ন দেখাও ছিল অন্যায়। তবে অর্চনা গৌতমের কথায়, ভবিষ্যৎ আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকে। অর্চনার কথায়, তিনি যে গ্রাম থেকে এসেছেন, সেখানে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনা করাটাও ছিল অনেক বড় বিষয়। অর্চনা জানিয়েছেন তিনি হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন, পরে গ্র্যাজুয়েশনও করেন। এরপর দিল্লিতে একটা কাজ পেয়েছিলেন, তবে কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে তাঁর সেই কജাজটাও চলে যায়। তবে অর্চনার বিশ্বাস, ‘যেটা ভাগ্যে আছে, সেটা ঘটবেই।’ আর সেকারণেই হয়ত তিনি মিরাট পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানেই বিগ বসের অডিশন দেন অর্চনা।যেখানে রবি কিষাণের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। জানান, যদিও অডিশনে তাঁর নির্বাচন হয়নি, কিন্তু তাঁর আত্মবিশ্বাস দেখে খুশি ছিলেন রবি কিষাণ। তাঁর হাত ধরেই বিগ বস-এর বাড়িতে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হয় অর্চনা গৌতমের।
আরও পড়ন-'পদ🌜ার্থবিদ্যা ও অঙ্কে ফেল করা ছাত্রী'! মাধ্যমিকে বাংলায় ঠিক কত পেয়েছিলেন🌟 স্বস্তিকা?
অর্চনা জানান, একবার কোনওভাবে এক মহিলার ২৫ হাজার টাকা ভুল করে তাঁর অ্যাকাউন্টে চলে এসেছিল। তবে সেসময় ওই টাকা তিনি ফেরত দেননি। সেই টাকাতেই তিনি মুম্বই এসেছিলেন। আর এটা হয়ত তাঁর ভাগ্য💟ে ছিল বলেই ঘটেছিল। তবে অর্চনা জানান, পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার (৪-৫ বছর) পর, যখন তাঁর কাছে টাকা আসে, তখন তিনি সেই টা♒কা ওই মহিলাকে ফেরত দেন।
অর্চনা জানান, একসময় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে 🌄তিনি অনেক কষ্ঠই করেছেন, দুধ বিক্রি করেছেন, গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতেন। জানান, একসময় তাঁর মা গয়না বন্ধক রেখেছিলেন। তাঁর বাবা বিভিন্ন ধরনের কাজ 💝করতেন, কখনও পুলিশ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে রান্না করতেন, কখনও আবার গাড়ি চালাতেন।