মৃত্যুকে বিশ্বাস করতে ভয় পাই কারণ আমরা বাঁচতে চাই--
সারা পৃথিবীর যেন একসঙ্গে অসুখ করেছে! যেদিকেই চোখ যায় শুধু হাহাকার! মানব সভত্যার ইতিহাসকে বদলে দিয়ে একটা ‘করোনা’ প্রমাণ করে দিল জীবন বড় ঠুনকো! বিশ্বাস যাতেই থাকনা কেন, আসলে মানুষ কিন্তু বড্ড অসহায়! মৃত্যু সচরাচর বিশ্বাসঘাতকতা করে না, তবুও মৃত্যুকে বিশ্বাস করতে ভয় পাই! কারণ আমরা সবাই বাঁচতে চাই। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেই বেঁচে থাকাটাই তো বিরাট বড় একটা প্রশ্ন! একে একে ফুরিয়ে যাচ্ছে সব! অর্থ সঙ্কট, কর্ম অনিশ্চয়তা, শস্য শূণ্যতা! সামনেই আসছে চুড়ান্ত ভয়াবহ দিন, যা হয়ত এই কোভিড ১৯ এর চেয়েও মারাত্মক ! করোনা আর কিছুদিনের মধ্যেই মিটে যাবে আমাদের পৃথিবী থেকে। কিন্তু যা তাণ্ডব করে দিয়ে গেল তাতে সম্পূর্ণ কাঠামোটাই তো ওলট পালট হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে সবার আগে পেটে খাবারটা প্রয়োজন, সেটা কোথা থেকে আসবে? সব কিছুর সঙ্গে লড়াই করা যায়, কিন্তুর খিদের সঙ্গে লড়া যায় না। আমি কেবল ভয় পাচ্ছি আগামী দিনের কথা ভেবে। বেকারতꩵ্ব যে বাড়বে সেটা আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। রোজগারের অভ💮াবে ভেসে যাবে কত সংসার! হয়ত অনেকেই ভাবছেন আমি বড় বেশি আশঙ্কার কথা বলছি, কিন্তু ক্ষমা করবেন পাঠকবৃন্দ, এছাড়া আমি অন্য কিছু ভাবতে পারছি না।
টেনশন তো একটাই, এর পর কী হবে!
চোখের সমনে যা দেখছি সেটাই বলতে চেয়েছি আমার এই ছোট্ট ছবিতে। আমার মত, সাধারণ পরিবারের অনেক ছেলে মেয়েরাই প্রতিদিন এই শহরে আসে কাজের সন্ধানে, কেউ বা আসে নিজের প্যাশনকে পেশা বানানোর লম্বা লড়াই লড়তে। সেক্ষেত্রে রোজগারের কোনও নিশ্চয়তা থাকে না। ইন্ডাস্ট্রি রানিং থাকলে এইটুকু ভরসা থাকে যে অল্প হলেও একটা ইনকাম রয়েছে। তাই নিয়েই চালিয়ে যেতে পারব। কিন্তু এখন ? আমরা যারা বাইরের তারা কেউ♏ বাড়ি ফিরতে পারিনি। আর বাড়ির মানুষদেরও তো সেই একই টেনশন, কী হবে? কী করে চলবে?
সম্পূর্ণ ফিল্মটা মোবাইল ফোনে একা বানিয়েছি--
এদিকে আমরা সকল♍েই কলকাতায় ভাড়া বাড়িতে গৃহবন্দী। আসতে আসতে ফুরিয়ে আসছে মজুদ রসদ। একাকীত্ব গ্রাস করছে সুস্থ চেতনাকে। নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু অস্থির চরিত্রের হাহাকার, এই ভাবনা থেকেই ‘হাঙ্গরি’ বানিয়েছি। সম্পূর্ণ ফিল্মটা আমার মোবাইলে বানানো। নিজেই এডিট করেছি। একাই সব টা করেছি। সবার ভালো লাগলে আমার কাজ সার্থক। মূল ইচ্ছে ছবি পরিচালনা করবার। ইচ্ছে রয়েছে সমাজের বিভিন্ন বিষয়, যা সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক তাই নিয়ে ভবিষ্যতে ছবি বানাব।
ফিল্ম মেকিং-এর সব কিছু শিখতে চাই--
রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি থকে নাটক নিয়ে পড়াশোনা করেছি। পাশাপাশি ‘নকশা’ (গোবরডা💮ঙ্গা) থিয়েটার দলে টানা ৯ বছর থিয়েটার করেছি। ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করার পর কলকাতায় কাজ করতে আরম্ভ করি। কেবল অভিনয় বা ডিরেকশন নয়, ফিল্ম মেকিং-এর সব কিছুই আমি শিখতে চেয়েছিলাম। প্রথম থেকেই তাই ফিল্ম সংক্রান্ত সব কিছুর মধ্যই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি সব সময়। অভিনয় তো করিই, আবার বন্ধু বান্ধব বা পরিচিত কেউ ডাকলে পরিচালকের সহকারি হিসেবেও কাজ করি। প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখছি। এখন অপেক্ষা নতুন কাজের।