জনপ্রিয় টিভি শো ‘জিজাজি ছাত পার কোই হ্যায়’ থ✤েকে প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী হিবা নবাব। আপাতত শো-টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। তাই বর্তমানে নিজের বাড়ির বরেলিতে রয়েছেন হিবা। সেখানে ইটি টাইমস টিভির সঙ্গে লাইভ চ্যাটে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। চ্যাটে নানা✱ বিষয়- ওজন হ্রাস, ওয়েব শো করতে বাঁধা এবং পছন্দের পোশাক নিয়ে কথা বলেন তিনি। সেখানেই এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, ‘উস্কানি মূলক পোশাক না পরাই ভাল। আমি মুসলিম পরিবারের সদস্য, আমাদের সংস্কৃতি আলাদা। যদিও আমি সেই সংস্কৃতির অনেক বিরোধিতা করি। এমনকি সেটাকে এভাবেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এটা আমার পরিবারের পাশাপাশি আমার সিদ্ধান্ত। এমনকি এখনো তাঁরা আমি যেমন পোশাকে পরি সেই সেটাকে পছন্দ করেনা, তাঁরা চান আমি অন্য ধরনের পোশাক পরি। তবে আমি একটু বিরোধী হয়ে উঠি যদিও তাঁদের অনুভূতিকে আর আঘাত করতে চাইনা। তাঁরা খুব বোধগম্য এবং সহায়ক। কিন্তু আমি আর বিকিনি পরতে চাইনা এমনকি বক🐎্ষবিভাজিকা প্রদর্শন করতে চাইনা। এটা আমার সিদ্ধান্ত এবং সেটার কোনো বিরোধ নেই’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি খাবার সম্পর্কে অনেক কথা বলি। তবে ওজন বৃদ্ধির জন্য বেশি খেতে পারিনা আমি। যদিও খাবার সম্পর্কে আলোচনা করি আমি। আমি মনে করি একজন অভিনেত্রী হিসেবে একটি নির্দিষ্ট🐎 উপꦰায়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ। তুমি যখন এত লোককে অনুপ্রাণিত করছ, তখন এটি ইতিবাচক এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে করতে হবে। আমি সকলকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার কথা বলি। আমি নিজেও স্বাস্থ্যকর খাবার খাই। নিজেও ফলো করি সেটা। আমি বলছি না যে সিক্স-প্যাক অ্যাবস পেতে হবে, তবে স্বাস্থ্যকর এবং মননশীল খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে চলতে পছন্দ করি’।
হিবার কথায়, ‘তবে মাঝে-মধ্যে আমার নিজেরও ওজন বৃদ্ধি পায়। স্ক্রিনে আমাকে একটু নাদুসনুদুস দেখায়। আমাকে পরিচালকরা ৩-৪ ꦿকেজি ওজন কমানোর পরামর্শ দেন। আমি সেটা করিও। একসময় আমি সেটে অনেক খেতাম। তবে আমাদের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমাদের এক🎃টি নির্দিষ্ট রকমের দেখা প্রয়োজন। এটা আমাদের কাজের মধ্যেও পড়ে। আমাদের পুষ্টিকর খেতে হয় এবং ভাল খেতে হয়’।
অভিনেত্রী কথায়, যখন তাঁর মন খারাপ হয় ঘরের ꧃দরজা বন্ধ করে তিনি চিৎকার করে কাঁদেন তবে নিজের পরিবারকে সেই আঁচ পেতে দেননা তিনি। ঘর বন্ধ করে করে নিজেকে স্বাভাবিক করে আবার ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি অপেক্ষা করছেন করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি যখন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে সেই নিয়ে।
হিবা জানিয়েছেন, তিনি ওয়েব শো-তে কাজ করতে চান। তবে বোল্ড কন্টেন্টের জন্য নিজেকে আটকে রেখেছেন তিনি। ‘আমি নিজেকে প্রকাশ করতে বা সাহসী দৃশ্যগুলি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। আমি ফোন পাই যখনই প্রশ্ন করি, কোনো বোল্ড অথবা চুমুর দৃশ্য আছে নাকি, তাঁরা হ্যাঁ বলতেই আমি পিছিয়ে আসি। আমার পജরিবারও এর পক্ষে নয়। ব্ඣযক্তি হিসাবে আমিও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না’।
তাঁর মাথায় নানা প্রকাশ চিন্তা আসে জানিয়েছেন তিনি। ‘একজন অভিনেতা হওয়া খুব সুরক্ষিত সত্ত্বা। অনেক কারণেই অভিনেতার জীবনে অনেকক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা থাকে। অনেক কারণের জন্য শো বন্ধ হয়েছে, তারমধ্যে অন্য কারণ- লকডাউন। আমরা নেতিবাচক হয়ে উঠি, কিন্তু এই সময় ইতিবাচক থাকার প্রয়োজন। অন্যথায় আমরা সকলেই হতাশায হয়ে পড়ব। যদি জিনিসগুলি কাজ না করে তবে আপনার সেটাকে গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন’। ‘জিজাজি ছাত পার কোই হ্যায়’ তাঁর ষষ্ঠ শো বলে জানিয়েছেন। যদিও এই প্রথমবার তাঁর কোনো শো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে বলে তিনি জানান। ‘আমি দেখলাম ৩-৭ মাসের জন্য বন্ধ রাখা শো আলাদা হয়ে যায়। আমি অনেক কিছু দেখেছি, হতাশ হয়ে পড়েছি, অনেক কান্নাকাটি করেছি তবে দিনের শেষে, এটা গ্রহণ করতে হয় এবং আরও ভাল জিনিস আসবে ভেবে এগিয়ে যাওয়া উཧচিত’।
তিনি জানান, তিনি অনেক ঘুমাচ্ছেন। যদি𒆙ও নিজের ঘুমের রুটিন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। নিজের ব্যায়াম এবং ডায়েট চার্ট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে বলে নবে করেন হিবা। তিনি জানান, ‘আমি প্রার্থনা করছি এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি এবং টিকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি’।