'দ্য এম্পায়ার' ওয়েব সিরিজে অভিনয় করার সুবাদে বহু দিন পর ফের একবার খবরে দিনো মোরিয়া। এই সিরিজে কুখ্যাত ঐতিহাসিক মুঘল🍸 চরিত্র মোহম্মদ সৈয়বনি খানের চরিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। ইতিমধ্যেই এই সিরিজে দিনোর লুক ও অভিনয় দেখে নড়েচড়ে বসেছে দলিউড। তারিফ শোনা গেছে সমালোচকদের মুখেও।গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ডিজনি+হটস্টার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট𓆉্রিমিং শুরু হয়েছে 'দ্য এম্পায়ার'-এর।
সম্প্রতি, 'দ্য এম্পায়ার' সম্পর্কিত হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিনো জানালেন একটা সময়ের পর নিজের মনমতো ছবির প্রস্তাব একেবারেই পাচ্ছিলেন না। তাই ইচ্ছে থাকলেও বাধ্য হয়ে অভিনয়ের কেরিয়ার থেকে ব্রেক নিতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৯৯ সালে বলিউডে পা রাখলেও ২০১০ সালে বি-টাউন থেকে একরকম ꦏবাধ্য হয়েই পাততাড়ি গোটাতে হয়েছিল দিনো মোরিয়াকে। তাঁর দাবি, ভালো ছবি কিংবা নামকরা প্রযোজনা সংস্থার ছবির প্রস্তাব আসা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছিল।সেইসময় পরিচালক-প্রযোজকদের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোনও কাজ পাইনি। খুব কঠিন সময় ছিল সন্দেহ নেই। তবে দাঁতে দাঁত চেপে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলাম। নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলাম।
ওই সময়ে যে ধরনের ছবির প্রস্তাব পাচ্ছিলেন তা যদি তিনি গ্রহণ করতেন তাহলে কেরিয়ারের আরও বারোটা বেজে যেত তাঁর। এতটাই নিম্ন রুচির ছিল সেসব ছবি। অভিনেতার কথায়, 'তা হলে নিজের হাতে নিজের কবর খোঁড়ღার সামিল হতো!' আরও জানালেন সেই কঠিন সময়ে নানান ছোটখাটো কাজ করে সংসার চালিয়েছেন দিনো।কীরকম ছোটখাটো কাজ? নিজেই জবাব দিলেন অভিনেতা, 'ধরুন দার্জিলিং উড়ে গেলাম কোনও বিউটি কন্টেস্টের এর বিচারক হিসেবে কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফিতে কাটা, ছোটখাটো অনুষ্ঠানে মুখ দেখানো...এইরকম আর কী'।
সামান্য থেমে তিনি আরও জানান যে নিজের খরচ চালাতে, বাড়ির ও পরিবারের দেখভালের জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা ওই সময়ে এইসব করেই রোজগার করেছেন। তবে▨ তাঁর দুঃসময়ে যাঁদের তরফে এই কাজের প্রস্তাবগুলো দিনো পেয়েছিলেন আজও তাঁদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। এছাড়াও নিজের জমানো টাকাও বিভিন্ন ব্যবসায় ঢেলেছিলেন এই বলি-অভিনেতা। কিছু কিছুর থেকে লাভের মুখ দেখলেও বাকি ব্যবসায় বিরাট ক্ষতি দেখেছিলেন দিনো।
বক্তব্যের শেষে তাঁর সংযোজন, ' ৯-১০ বছর পর ফের বলিউডে🌜 ফিরেছি। আমার নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই। এখন শুধু কিছু ভালো কাজ করতে চাই। মুখ বুজে এই ক'টা বছর পরিশ্রম করেছি নিজের পিছনে। এখন হয়ত তার ফল পাচ্ছি'।