সংগীতশিল্পী কুমার শানু কন্যা শ্যানন কে। বিদেশে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন একসময়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অকপট শ্যানন। খুব ছোট বয়সে মায়ের সঙ্গে লন্ডনে শিফট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এক মিউজিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। মার্কিন মুলুক এবং ব্রিটেনে বর্ণবৈষম্যের শিকার নিয়ে মুখ খুললেন শানু কন্য়া।দৈনিক ভাস্করকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুমার শানু কন্যা জানিয়েছেন, ‘বাস্তব জীবনে আমি অনেক মানসিক চাপের শিকার হয়েছিলাম। ছোট বয়সে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। পাশ্চাত্য দেশগুলিতে প্রায়শই বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমার মনে আছে আমি যখন অডিশন দিতে গিয়েছিলাম তখন আমাকে ছোট অনুভব করানো হয়েছিল, কারণ আমার আশেপাশের অনেকেই আমার থেকে আলাদা ছিল। বয়সে এতটাই ছোট ছিলাম, সেগুলো মেনে নেওয়া আমার পক্ষে চাপের হয়ে উঠেছিল’। শ্যাননের কথায়, এসব কারণে প্রায়শই বাড়ি ফিরে তিনি কাঁদতেন। এসব ঘটনার সম্মুখীন হয়ে, নিজের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলতেন একসময়। নিজেকে শুধু শিল্পী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও প্রমাণ করতে চান তিনি।তরুণ গায়িকার কথায়, ‘এখন আমি জানি কীভাবে এগুলির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমি একদিন এটা নিয়ে একটা গান তৈরি করতে চাই এবং বিশ্বের সব প্রান্তে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারে সাহায্য করতে চাই’।গায়ক জাস্টিন বিবারের পপ সিঙ্গল ‘A Long Time’ দিয়ে ডেবিউ করেন শ্যানন। সংগীত প্রযোজক কাইল টাউনসেন্ডের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। শ্যানন ২০১৮ সালে ‘OMT’ নামে একটি গানে সোনু নিগমের সঙ্গে কাজ করেছেন। গায়ক কুমার শানুর দত্তক কন্যা শ্যানন কে। ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলিউড গায়াক জানিয়েছিলেন, ‘আমি কখনই এটি প্রকাশ করতে চাইনি। কারণ আমি ভয় পেয়েছিলাম সমাজ কী ভাববে, তাঁরা এটাকে কোন দৃষ্টিতে দেখবে’। বর্তমানে নিজের মেয়েকে নিয়ে গর্বিত তিনি। শ্যানন তাঁর আসল মেয়ে নয়, তাতে গায়কের কোনও প্রভাব পড়ে না বলে জানিয়েছেন। নিজের মেয়েকে কঠোর পরিশ্রমী বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। শানুর কথায়, ‘হলিউডের অনেক ব্যক্তি তার কারণে আমাকে চেনে এবং এটি আমাদের পরিবারের কাছে গর্বের বিষয়’।