রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল বাংলাদেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদের। বুধবার, নিজের বাড়িতেই ঝুলন্ত অবসღ্থায় সাদি মহম্মদের দেহ উদ♏্ধার হয়। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হলে শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার শিল্পী সাদি মহম্মদকে ঢাকার জামে মসজিদে কবরস্থ করা হয়।
ঘটনা খতিয়ে দেখছে 𝓰ঢাকা পুলিশ। যেহেতু শিল্পীর ঘরের দরজা ভি⛄তর থেকে বন্ধ ছিল এবং তাঁর গলার দাগ ছিল, তাই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন সাদি মহম্মদ। এদিকে শিল্পীর পরিবারের সিদ্ধান্তের কারণেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করেননি চিকিৎসকরা। তবে শিল্পীর পরিবারের দাবি, বহুদিন ধরেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন শিল্পী।
এদিকে সাদি মহম্মদের দীর্ঘদিনের সহকারী সোহেল মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, শিল্পী বুধবার রোজা শেষে সকলের সঙ্গেই ইফতার পালন করেছিলেন। ঘরে গিয়ে তানপুরা নিয়ে রেওয়াজে বসেছিলেন তিনি। তখনই ঘরে🅠র দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। পরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এদিকে প্রয়াত শিল্পীর পারিবারিক বন্ধু, নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন🍌, ‘শিল্পীরা তো একটু অভিমানী হয়। হয়ত অনেক কিছু নিয়েই তাঁর মধ্যে অভিমান ছিল। আমরা হয়ত বুঝতে পারিনি।’
প্রসঙ্গত, ঢাকার মহম্মদপুরে থাকতেꩵন সাদি মহম্মদ। পারিবারিক সূত্রে খবর, গত মাসে শিল্পী তাঁ😼র মাকে হারিয়েছিলেন। সেই শোক নাকি সামলাতে পারেননি শিল্পী। মানসিকভাবে তিনি বিপর্যস্ত ছিলেন। শিল্পীর ভাই শিবলী মহম্মদ জানিয়েছেন, রেওয়াজের পর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন সাদি। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙা হয়।
প্রসঙ্গত, শিল্পী সাদি মহম্মদ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ২০০৭ সালে 'আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে' অ্যালবামে সুরকারಌ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।🗹 ২০০৯ সালে তাঁর 'শ্রাবণ আকাশে' এবং ২০১২ সালে 'স্বার্থক জনম আমার'।
প্রসঙ্গত সাদি মহম্মদ হলেন ১৯৭১-এর মুক্তি যুদ্ধের প্রথম প্রহরে শহিদ পিতার সন্তান। তাঁর বাবা ছিলেন শহিদ সালিমউল্লাহ। ১৯৭১ সালে তাঁর তাজমহল রোডের বাড়িটি হয়ে উঠেছিলꩵ স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কার্যালয়। তাঁর বাড়িতেই বৈঠকে বসতেন তৎকালীন আওয়ামি লিগের শীর্ষ নে﷽তারা। আসতেন বঙ্গবন্ধু পুত্র শহিদ শেখ কামাল। বাবাকে সাদি মহম্মদ তো আগেই হারিয়েছিলেন, তবে সম্প্রতি মাকে হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন সাদি।