🧔রবিবার ৩ মার্চ ইন্ডিয়ান আ💟ইডল সিজন ১৪-র গ্র্যান্ড ফিনালে! অপেক্ষার আর কয়েক ঘণ্টা। এবার বিজেতার নাম সামনে আসার পালা। ৬ প্রতিযোগী উঠেছে ফাইনালে। এখন দেখার কার মাথায় ওঠে বিজেতার শিরোপা!
গোটা সিজন জুড়েই এই ৬জন কড়া টক্কর দিয়ে চলেছেন এরা একে-অপরকে। এমনকী শো-তে আসা অতিথি বিচারকরাও করে গিয়েছেন তারিফ। কেউ কারও থেকে কম যান না। তব🥂ে দেশের মানুষ কাকে বেছে নেয়, সেটাই এখন দেখার।
৬ ফাইনালিস্টের তালিকায় নাম রয়েছে ফরিদাবাদের আদ্য মিশ্র, কলকাতার অনন্যা পাল ও শুভদীপ দাস 🐓চৌধুরী, বেঙ্গালুরুর অঞ্জনা পদ্মনাভন, কানপুরের বৈভব গুপ্তা, রা🤪জস্থানের পীযুশ পানওয়ার।
ফাইনাꦦলে বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা থাকছেন সোনু নিগমকে। এবছর বিচারকের আসনে ছিলেন সংগীতের জগতের ৩ দিগ্গজ শ্রেয়া ঘোষাল, বিশাল দাদলানি ও কুমার শানু। ফাইনালের শুরুতেই শ্রেয়া ঘোষণা করলেন ৩ঘণ্টায় থাকবে ৩টি চ্যালেঞ্জ। আর এই ৩ চ্যালেঞ্জের শেষেই বেছে নেওয়া হবে এবারের বিজেতা।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান আইডলের ১৩-র ফাইনালে তীরে এসে ত𝔍রী ডুবেছিল বাংলার। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তিন বাঙালি কন্যের। মেগা ফাইনালে পৌঁছেও অল্পের জন্য꧂ ট্রফি হাতছাড়া হয় দেবস্মিতা রায়, সোনাক্ষী কর ও বিদীপ্তা চক্রবর্তীর। এবারে এমনটা হবে না বলে আশা করছে বাঙালি।
ফিরলেন সোনু নিগম:
এক সময় সোনু নিগমকে ছাড়া ভাবাই যেত না ইন্ডিয়ান আইডল। তবে তিনি বহুদিন আগে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিচারকের আসন থেকে। তবে ফিরলেন𒅌 ইন্ডিয়ান আইডল ১৪-র গ্র্যান্ড ফাইনালের দিন। সোনুকে মঞ্চে পেয়ে খুশি হয়ে যান শ্রেয়া, বিশালরা। গাইলেন ম্যায় হু না, ইস প্যায়র কো মে কেয়া নাম দু, হিরো য্যায়সা নাচ কে দিখাও, মর জায়ু ইয়া জি লু জারা-র মতো একাধিক গান। আর সোনুকে গানে সঙ্গ দিলেন ৬ প্রতিযোগী।
সোনুর গানের প্রশংসায় বিশাল দাদলানি বলে উঠলেন, ‘এবার মনে হচ্ছে ইন্ডিয়🥂ান আইডলের ফাইনাল’। আর শ্রেয়ার মন্তব্য, ‘দ্য ওজি ইজ হিয়ার’। স🔯োনু নিজেও জানালেন তাঁর কাছে, ইন্ডিয়ান আইডলে ফেরা ঘরে ফেরার মতো।
হিট লিট চ্যালেঞ্জ
হিট লিট চ্যালেঞ্জ দিয়ে বেছে নেওয়া হবে সেরা পাঁচ। অর্থ🐽াৎ বাদ যাবে একজন। প্রথমেই গাইলেন বেঙ্গালুরুর মেয়ে অঞ্জনা পদ্মনাভন। তাঁর গলায় ঝুম ঝুম ঝুম বাবা শুনে গানের মাঝপথেই শ্♑রেয়া দিয়ে দিলেন গোল্ডেন বুম। অর্থাৎ অঞ্জনা পৌঁছে গেলেন টপ ৫-এ।
এরপর গাইলেন বাংলার শুভদীপ দাস চৌধুরী। তিনি বেছে নিয়েছিলেন মিতওয়া। শুভদীপও পেলেন গোল্ডেন বুম। কুমার শানু বললেন, ‘শুভদীপ টপ ফাইভে ওয়েলকাম। মনে হচ্ছে তুই ট্রফি কলকাতায় নিয়েই যাবি’। মণিতা ও মাই ডার্লিং গাইলেন এই রাউন্ডে অনন্যা। তবে তাঁকে এখনও গোল্ডেন বুম দেননি বিচারকরা। রাজস্থানের পীযুশ পানওয়ার গাইলেন খলি বলি হো গ্যয়া হ্যায় দিল। তি𝓡নিও এখনও পাননি গোল্ডেন বুম।
শেষে এসেಌ অঞ্জনা আর আদ্যার মধ্যে থেকে বেছে নিতে বেশ মুশকিলে পড়ে যান বিচারকরা। আর একেবারে শেষে♈ এসে বেছে নেওয়া হল অনন্যাকেই।
এলেন নেহা কক্কর
আপাতত সেরা পাঁচে নাম রয়েছে কলকাতার অনন্যা প🌄াল ও শুভদীপ দাস চৌধুরী, বেঙ্গালুরুর অঞ্জনা পদ্মনাভন, কানপুরের বৈভব গুপ্তা, রাজস্থানের প🏅ীযুশ পানওয়ারের। পিযুশ সোনু নিগমের সঙ্গে গাইলেন ‘ইয়ে দিল দিওয়ানা।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে এলেন নেহা কক্কর। এর পরে শুরু হতে চলা সুপারস্টার সিঙ্গার থ্রি-র বিচারকের আসনে থাকবেন তিনি। নিজের শো-র প্রোম🅺োশন করতে আসেন তিনি। আর সামনে সোনুকে দেখতে পেয়ে নেহার মন্তব্য, ‘ওমা ওই দেখো, আমার ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারক’! প্রসঙ্গত, সেই সময় শো থেকে মাঝপথেই বেরিয়ে যেতে হয়েছিল নেহাকে। কেউ বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি এই মেয়ে একদিন গোটা দুনিয়া কাঁপাবে।
শ্রেয়া ঘোষাল-কুমার শানু-বিশাল দাদলানির পারফরমেন্স
এদিন লাল গাউনে এসেছিলেন শ্রেয়া। কানে ম্যাচিং ইয়াররিং। খোলা চুল। এমনিতেই রূপে মুগ্ধ করলেন। আর যখন গাইলেন ‘পরম সুন্দরী’, ‘ঘর মোরে পরদেশিয়া’-র মতো গান। সোনু নিগমের সঙ্গে ডুয়েটে শ্রেয়াকে গাইতে শোনা গেল পিয়া ব🅠োলে, তু বস দে দে মেরা সাথ-ও। শানু গাইলেন পগল মজনু দিওয়ানা, দেখা তেরে মস্ত নিগাহ নে-র মতো গান।
প্যয়রেলাল জি-র সিম্ফোনি চ্যালেঞ্জ
সিম্ফোনি চ্য়ালেঞ্জের বিচার করলেন প্যয়রেলাল জি। প্রথমেই পারফর্ম করলেন শুভদীপ দাস চৌধুরী। গাইলেন এক হসিনা থি। কানপুরের বৈভব গুপ্তা দ্বিতীয় রাউন্ডে বেছে নিলেন ‘ঝুম্মা চুম্মা দে দে’। গান শুনে সোনু বললেন, ‘এই চ্যালেঞ্জে বড় বড় গায়কদের শ্বাস ফুলে যায়। আর আপনারা কী গান গাইছেন’! 🐼অনন্যা পাল গাইলেন মোহিনী। আর এই গান শুনে উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন বিচারকরা। সকলে সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘ইয়ে হিট সে জ্যয়দা লিট হ্য🌠ায়।’
‘হাঙ্গামা হো গ্🧔যয়া’ গাইলেন🌼 অঞ্জনা পদ্মনাভন। এর আগে ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়র জিতেছিলেন বেঙ্গালুরুর এই মেয়ে।
আর এই রাউন্ড থেকে সেরা চারে পৌঁছলেন শুভদীপ দাস চৌধুরী, অনন্যা পাল, অঞ্জনা পদ্মনাভন, পীযুশ পানওয়ার। অর্থাৎ বাদ গেলেন অঞ্জনা। এবারে ট্রফি জেতার স্বপ্ন থেকে গেল অধরাই।&nbs✃p;
কে জিতল ট্রফি?
তবে শেষমেশ হারল কলকাতার দুই ছেলেমেয়েই। অনন্যা চꦫার নম্বরে এলেন। আর সেরা দুইয়ে পৌঁছন শুভদীপ আর ♏বৈভব। তবে শেষ হাসি হাসল কানপুরের ছেলেই।