ভারতীয় টেলিভিশনের অন্যতম চর্চিত রিয়ালিটি শো ইন্ডিয়া'স গট ট্যালেন্ট। এই জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো-এর ১০ নম্বর সিজনে যবনিকা পড়ল রবিবার রাতে। প্রতিবারের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান প্রতিভাধরেরা একত্রিত হয়েছিল ইন্ডিয়া'স গট ট্যালেন্টের মঞ্চে। জয়ের হাসি হাসল ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরের আবুঝমড় মল্লখম অ্যাকাডেমি। পোলের উপর মল্লখম পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। অতিপ্রাচীন ভারতীয় খেলাকে নতুন আঙ্গিকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে বাজিমাত করল আবুঝমড় মল্লখম অ্যাকাডেমি। আরও পড়ুন-জিরো ডিগ্র🐎ি গ্রুপের বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন বাদশা, ‘সব টাকা আমি দেব…’
ইন্ডিয়া'স গট ট্যালেন্টের গ্র্যান্ড ফিনালেতে বাংলার চোখ ছিল কলকাতার ‘গোল্ড♈েন♒ গার্লস’-দের উপর। এই ডান্স ট্রুপ গোটা সিজন ধরে বিচারক ও দর্শকদের মন জিতেছে। কিন্তু ট্রফি হাতছাড়া হল কলকাতার সোনার মেয়েদের। এছাড়াও গ্র্যান্ড ফিনালের সেরা ছয়ে জায়গা কর নিয়েছিলেন, মহিলা ব্যান্ড, রাগা ফিউশন, দ্য় আর্ট এবং জিরো ডিগ্রি ক্রিউ।
আবুঝমড় মাল্লাখাম্বা অ্যাকাডেমি হাতে এদিন বিজয়ীর ট্রফি ছাড়াও উঠল নগদ ২০ লক্ষ টাকা। শো চলাকালীন আবুঝমড় মল্লখম অ্যাকাডেমি মন্ত্রমুগ্ধ করা পারফরম্যান্সে বুঁদ থেকেছে গোটা দেশ। চলতিবার এই রিয়ালিটি শো-এর বিচারকদের আসনে দেখা মিলেছে কিরণ খের, শিল্পা শেট্টি এবং বাদশার। শো সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন টেলি তারকা অর্জুন বিজলানি। ২৯শে জুলাই শুরু হওয়া এই শো-এর তিন মাসের সফর🀅 শেষ হল রবিবার। গ্র্যান্ড ফিনালেতে অতিথি বিচারক হিসাবে হাজারি ছিলেন করণ জোহর।
ট্রফি জিতে আবুঝমড় মাল্লাখাম্বা অ্যাকাডেমির কোচ মনোজ প্রসাদ জানান, ‘এটা খুব আবেগঘন একটা মুহূর্ত। আমাদের স্বপ্নপূ♉রণ হল। শুরুতেই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ভারতের এই প্রাচীন খেলা তথা মার্শ൲ল আর্টকে সবার সামনে তুলে ধরা। এই স্টেজেই প্রথমবার অ্যাকাডেমির বাইরে গিয়ে পারফর্ম করল ছেলেরা। ট্রফি জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জয় ভবিষ্যতে আমাদের অ্যাকাডেমিকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে’।
বিচারক শিল্পা শেট্টি বলেন, ‘এই ট্রফি যোগ্যতম দলের হাতেই গিয়েছে😼। প্রতিবার তাঁরা নিজেদের পারফরম্যান্সকে আরও ভালো করেছে। টিম স্পোর্টস কী, তা জ্বলন্ত উদাহরণ আবুঝমড় মল্লখম অ্যাকাডেমি। আমি ওদের আন্তর্জাতিক স্তরে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখতে চাই’।
বাদশা এর আগে মুম্বইয়ের জিরো ডিগ্রি ক্রিউয়ের বাচ্চাদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। গ্র্যান্ড ফিনালের পর ব়্য়াপার জানান, ‘কোনও অবস্থাতেই হার 🔯না মানার মানসিকতাই আজ ওদের স্বপ্নপূরণের পাথেয় হয়েছে। দেশের ঐতিহ্য আর পরম্পরাকে ধরে রাখার এবং তার প্রসারে ওদের চেষ্টা সত্যি কুর্নিশযোগ্য’।