কোনও বিবাহিত মহিলার ওজন বাড়লেই আশেপাশে শুরু হয় ফিসফাস। তিনি প্রেগন্যান্ট কি না তা নিয়ে তাঁকে শুনতে হয় প্রশ্ন। সাধারণ মানুষ তো বটেই, অভিনেত্রীরাও রেহাই পান না এই প্রশ্নের হাত থেকে। এবার এই প্রশ্নের হাত থেকে রেহাই পেলেন না বিপাশা বসুও। আরও ভালো করে বললে, বহুবার তাঁকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে ওজন বাড়লেই তাঁকে এ হেন প্রশ্ন শুনতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর দাবি এই প্রশ্নের সঙ্গে নাকি রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে।এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কোনও রাখঢাক না করেই বলেছেন, ' আমার পরিবার আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, ওজন বাড়লেই আমার প্রেগন্যান্সি নিয়ে শুরু হয় নানান জল্পনা'। তিনি আরও জানান যে ইন্ডাস্ট্রি এবং এই শো বিজনেস দুনিয়ার অংশ হওয়া সত্বেও তাঁর শরীরের ওপর সম্পূর্ণ অধিকার একমাত্র তাঁরই। তিনি শরীরের ওজন বাড়াবেন কি না সে ব্যাপারেও নির্ণায়ক একমাত্র তিনি নিজেই। বিপাশা বলেন, 'আমি ফিটনেস অ্যাম্বাসেডার সেটা জানি। কিন্তু কখনও কখনও ফিটনেসের কথা ভাবি না। তাঁর মনে এই নয় যে যা তা ভাবে নিজের জীবনটা কাটাচ্ছি আমি কিংবা কোনও অস্বাস্থ্যকর কিছুর মধ্যে ডুবে রয়েছি। কিন্তু এটাও পরিষ্কারভাবে বুঝে গেছি যতক্ষণ আমার সন্তানকে না দেখছেন সবাই, ততক্ষণ আমার প্রেগন্যান্সি নিয়ে নিরন্তর এই জল্পনা চলবে!'বেশ কয়েক বছর সম্পর্ক থাকার পর অভিনেতা করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বিপাশা। বিপাশা জানিয়েছেন যে তিনি খুব ভালো করেই বোঝেন সকলে তাঁদের ভালর জন্যই হয়তো সন্তানের প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। তাই তো এই প্রসঙ্গে গুজব, জল্পনাগুলো শুনে কোনও খারাপ লাগা কাজ করে না তাঁর। কিন্তু নায়িকা মনে করেন, যদি তা হওয়ার হয়, তা হলে হবেই। নিজের বক্তব্যের শেষে ৪২ বছর বয়সী এই বলি-অভিনেত্রীর সংযোজন, ' এইসং জল্পনা শুনে আমার একটুও মনখারাপ হয় না। তেমন বিরক্তও হই না। আমার সম্পর্কে তো আর মারাত্মক খারাপ কিছু তো বলা হচ্ছে না। তবে আমি প্রেগন্যান্ট নই, এটাই হয়তো খারাপ লাগবে শুনে বহু মানুষের'।