বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ্যে এসেছে জিতের আসন্ন ছবি বাজির টিজার। আর জিত-মিতি জুটির প্রথম ছবির ঝলক শুরু থেকেই চরꦰ্চার কেন্দ্রবিন্দুতে, প্রথমটি অবশ্যই দু-জনের ঘনিষ্ঠ চুমুর দৃশ্য, অন্যটি এই ছবি নাকি জুনিয়র এনটিআরের ব্লকবাস্টার ছবি নান্নাকু প্রেমাথো নকল করে তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই অভিযোগ উপচে পড়ছে। ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে জিত-মিমি ভক্তরাই এমন অভিযোগ আনছেন। কেউ বলছেন এই ছবিটাও কী দক্ষিণের ছবির রিমেক? কেউ সরাসরি নাম নিয়েই বলছেন- ‘এটা তো পুরো নান্নাকু প্রেমাথোর নকল’। টিজারে জিত-মিমির রসায়ন দেখে অনেকেই যেমন উচ্ছ্বসিত তেমনই অভিযোগের তালিকাটাও লম্বা। সত্যি কি নান্নাকু প্রেমাথোর নকল এই ছবি? তাহলে উত্তরটা হল না, নকল নয়- বরং বলা ভালো নান্নাকু প্রেমাথোর অফিসিয়্যাল রিমেক এই ছবি। অর্থাত্ অনুমতি নিয়ে তবেই বাংলায় এ𝓰ই ছবিটি পুনঃনির্মাণ করেছেন প্রযোজক-অভিনেতা জিত।
নান্নাকু প্রেমাথোর ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে, ছবিতে জুনিয়র এনটিআরের বিপরীতে রয়েছেন রকুল প্রীত সিং। এই ছবির হিন্দি ডাবড ভার্সনটিও যথেষ্ট জনপ্রিয়। ‘ফ্যামিলি- এক ডিল’ এই নামে হিন্দিতে ডাবিং করা হয়েছে এই ছবির, যা জাতীয় টেলিভিশনগুꦜলিতে হামেশাই সম্প্রচারিত হয়ে থাকে। রিমেক ভার্সনে অর্থাত্ বাজির প্লটে মূল গল্প কতখানি পরিবর্তন করা হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়, তবে টিজার দেখে মনে হয় না ছবিতে খুব বেশি টুইস্ট এনেছেন পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষ কিংবা চিত্রনাট্যকার অর্ণব ভৌমিক। এই ছবির সঙ্গীতের দায়িত্বভার সামলেছেন জিত গঙ্গোপাধ্যায়।
এর আগে জিতের সুলতান, বাদশা, বচ্চন, অভিমান, বাদশা-দ্য ডনের মতো একাধিক ছবি বা বলা যায় জি𒊎তের কেরিয়ারের বেশিরভাগ ছবিই দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্মের রিমেক।
বাজিতে জিতের বাবার চরিত্রে রয়েছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বাবার প্রতিশোধ নিতে এবং বাবাকে নতুন জীবন দিতে ৩০ দিনে একটি মিশন পূরণ কর𒁃তে হবে জিতকে, সেই নিয়েই বাজি। জিত-মিমি-অভিষেক ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন বিশ্বনাথ বসু♐, সব্যসাচী চক্রবর্তী, দেবদূত ঘোষরা।
অসুর জিতের কেরিয়ারের একটা বড় এক্সপেরিমেন্ট ছিল, তবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি জিত। তাই বাজি দিয়ে ফের একবার নিজের জঁরের ছবিতে কামব্যাক করছেন টলিউডের ‘বস’। নিঃসন্দেহে এই ছবির সবচেয়ে বড়ো ইউএসপি হতে চলেছে প্রথমবার পর্দায় জিত-মিমি জুটি। এখনও ঠিক হয়নি ছবি মুক্তির তারিখ, শীঘ্রই মুক্তি পাবে বাজি। দীপাবলিতে অনুরাগীদের বাজির ﷺটিজারই উপহার হিসাবে দিলেন জিত-মিমি।