সিরিজ: যাহা বলিব সত্য বলিব
পরিচালক: চন্দ্রাশিস রায়
অভিনয়: মিমি চক্রবর্তী, টোটা রায়চৌধুরী, অনুজয় চট্টোপাধ্যায়
প্ল্যাটফর্ম: হইচই
রেটিং: ৪.১/৫
হিন্দিতে একটার পর একটা দুর্দান্ত কোর্টরুম ড্রামা হয়ে চলেছে। গত বছর সির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায় বা মিসেস চ্যা🍷টার্জি ভার্সেস নরওয়ের মতো ছবি হয়েছে। ছবিগুলো দেখে অনেক সময়ই মনে হয়েছে বাংলায় রহস্য, সাহিত্য ভিত্তিক কাজের পাশাপাশি এমন যদি কিছু হতো, তাহলে কেমন হতো? বছর ঘুরতেই চন্দ্রাশিস রায়ের যাহা বলিব সত্য বলিব সেটা পূরণ করল। একেবারে নিপাট, ছিমছাম অথচ সুন্দর একটি কোর্টরুম ড্রামা। রয়েছে পরতে পরতে টুইস্ট। কিন্তু কেমন লাগল মিমি▨-টোটার সংঘাত?
গল্প কী যাহা বলিব সত্য বলিবর?
কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনাকেই তুলে আনা হয়েছে এই সিরিজে। বর্ষশেষের রাতে একটি মেয়েকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দেন একজন পুলিশকর্মী। আইসি তাপস সাহা। অভিযুক্ত? সেও পুলিশকর্মীরা। অর্থাৎ পুলিশকর্মী ভার্সেস পুলিশকর্মীর কেসে মুখোমুখি দা﷽ঁড়ালেন পোড়খাওয়া উকিল জয়রাজ সিনহা থুড়ি সিংহ এবং প্রায় নবাগতা পৃথা রায়। সত্য আছে কিন্তু প্রমাণ নেই, সত্য মিথ্যে মিলেমিশে এ🎐কাকার, এমন অবস্থায় জিতবে কে? কোন পথে ন্যায় বিচার পাবেন মৃত আইসি তাপস সাহা? সেটাই দেখাবে যাহা বলিব সত্য বলিব। সঙ্গে আছে ভরপুর টুইস্ট, ইমোশনাল টাচ।
আরও পড়ুন: জ✃াহ্নবীর 'সব বিউটি স্পট' দেখার আবদার বলি তারকার! করণের কফির আড্ডায় এসে কী বললেন শ্র♔ীদেবী কন্যা?
কার অভিনয় কেমন লাগল?
ধনঞ্জয়ের পর মিমি চক্রবর্তীকে ফের এখানে উকিলের চরিত্রে দেখা গেল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি যে ঠিক কতটা পরিণত হয়েছেন সেটা এই সিরিজ বেশ বুঝিয়ে দিয়েছে। অন্য🥃দিকে টোটা রায়চৌধুরীকে নিয়ে নতুন করে কী আর বলি। ঠান্ডা মাথায়, হাসিমুখে যে এভাবে টক্কর দেওয়া যায় মিথ্যাকে সত্য প্রমাণ করার জন্য, কোর্টে বাস্তবেও যে এমনটা হয় সেটা তিনি দুর্দান্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কোথাও কো🎃নও কিছু এতটুকু অতিরঞ্জিত মনে হয়নি। সবটা যেন খাপে খাপ। তবে এই দুই অভিনেতার পাশাপাশি নজর কাড়লেন অনুজয় চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ অফিসার, একজন বন্ধুর চরিত্রে দুর্দান্ত তিনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁর এক্সপ্রেশন তো মিমিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। অন্যান্য চরিত্রে আছেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রমুখ।
যাহা বলিব সত্য বলিবর অন্যান্য বিষয়
ক্যামেরার কাজ বেশ কিছু দৃশ্যে মনে রাখার মতো, উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে একটি গানের দৃশ্যে মিমির জল ছায়ার দৃশ্য, বা মিমি অনুজয়ের ছাদে দাঁড়িয়ে কথা বলার দৃশ্য। এছাড়া সিরিজের গান, মূলত লিরিক্স ভীষণই সুন্দর। বছর শুরুর উইকএন্ডে বা অফিস থেকে বাড়ি ফিরে একটু সময় পেলে এক নিঃশ্ܫবাসে দেখে ফেলার মতোই সিরিজ। বিশেষ করে শেষ দৃশ্যের জন্য।