নিজেকে নাস্তিক বলে দাবি করেন জাভেদ আখতার। বিজ্ঞানের যুগে দাঁড়িয়ে, চাঁদে রকেট পাঠিয়ে আবার মন্দিরে কেন যাচ্ছেন ইসরো বিজ্ঞানীরা! এ প্রসঙ্গে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনিই। বলিউডের এই বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের দাবি, ꦜঅন্ধকার যুগ থেকেই ধর্মের আনাগোনা। আর তাকেইღ আগলে ধরে এখনও বাঁচছে মানুষ। ধর্ম মানুষের ব্যক্তিত্বকে বিভক্ত করে দেয়। ইংরেজিতে যাকে 'স্প্লিট পার্সোনালিটি' বলা যায়।
প্রখ্যাত বলিউড গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার, নিজেকে নাস্তিক বলেই দাবি করেছেন মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে ধর্ম নিয়ে নিজের চিন্তাভাবনা কথা বলেছেন 🍨তিনি। ধর্মের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতে গিয়ে এদিন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানীদেরই উদাহরণ দেন জাভেদ আখতার। তাঁদের সিজোফ্রেনিক্স বলতেও দুইবার ভাবেননি তিনি। ছোট থেকেই মনের মধ্যে তিল তিল করে তৈরি হওয়া ধর্মীয় আবেশটা, আখতারের চোখে সিজোফ্রেনিয়া'।
কী এই সিজোফ্রেনিয়া
৭৯ বছর বয়সী জাভেদ আখতারের দাবি, আমরা সবাই জানি যে চাঁদে দেবতারা বসবাস করেন। আর ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা ইসরো, এখন সেই চাঁদেই রকেট পাঠাচ্ছে। আবার রকেটটি পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা মন্দিরে কেন যান! আখতারের চোখে এটাই হল সিজোফ্রেনিয়া। নিজের জ্ঞান ও তথ্যের সঙ্গে, মানুষের এই ধর্মের চিন্তা-চেতনার মিল নেই। সিজোফ্রেনিয়ায় বুদ্ধিকে ছেদ করে জয়ী হয় ধর্ম। আর এই বিষয়টিই কখনও আখতারকে🐷 কাবু করতে পারেনি, তাই তিনি নাস্তিক।
ধর্মীয় অনুভূতি কেন জাগে না জাভেদ আখতারের মনে
এই সব ধর্♚মই অন্ধকার যুগের। তাদের 🧸শিকড় অন্ধকার যুগেই ফিরে যায়। কিন্তু এই অন্ধকার যুগ আখতারকে একেবারেই হাতছানি দিতে পারে না। তাঁর নিজের মধ্যে চিন্তা করার কথা ক্ষমতা এখনও জীবিত। আর এই বিষয়টিরই অভাব রয়েছে ২০ থেকে ২১ শতকের জেনারেশনের মধ্যে। এমনটাই মনে করেন জাভেদ সাহেব। তাঁর কথায়, '২০ এবং ২১ শতক সিজোফ্রেনিয়ার সময়। মানুষের মধ্যে এখন বিভক্ত ব্যক্তিত্ব বিরাজমান।'
প্রসঙ্গত, একবার মন্দির পরিদর্শনের পরে, চন্দ্রযান-৩ মিশনের হিরো এস সো🤡মনাথ নিজেই বলেছিলেন যে তিনি বিজ্ঞানের পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতাও অন্বেষণ করেন।