দেﷺবীপক্ষের সূচনা ঘটতেই শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়লেন🌜 প্রাক্তন রাজ্য সভার সদস্য জহর সরকার। দুর্গাপুজোর বদলে বলে বসলেন নবরাত্রি! আর তাতেই ক্ষেপে আগুন বাঙালিরা। দিলেন কড়া জবাবও।
আরও পড়ুন: না ফেরার দেশে কাজী নজরুল ইসলামের♔ নাতি অনির্বাণ! মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৪৯
কী ঘটেছে?
দেবীপক্ষের সূচনা ঘটে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে নবরাত্রিও। কিন্তু বাংলায় নবরাত্রি পালিত𝔍 হয় না সেই অর্থে। বরং ষষ্ঠী পুজোর দিন থেকে শুরু হয় বাঙালির দুর্গাপুজো। বাঙালি হয়ে সেটা জহর সরকারের অবগত নয়, এমনটা একেবারেই নয়। কিন্তু তিনি এদিন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে দেবীপক্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে লেখেন, 'বাংলায় নবরাত্রি শুরু হল।' সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন, যেখܫানে দেখা যাচ্ছে দেবী দুর্গার হাতে একজন তরুণী মহিলা চিকিৎসকের দেহ। বলাই বাহুল্য তিনি এখানে আরজি কর প্রসঙ্গের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এই পোস্ট করার পরই তাঁকে তুমুল ভাবে সমালোচিত হতে হয়। নেটিজেনরা তাঁকে মনে করিয়ে দেন এটা বাংলা। এখানে নবরাত্রি হয় না। পশ্চিমের মতো নিরামিষ খেয়ে বাংলায় সেই অর্থে নবরাত্রি পালিত হয় না। বরং এখানে দুর্গাপুজোয় কব্জিཧ ডুবিয়ে মাছ মাংস খাওয়া হয়। একই সঙ্গে চলে দেবীর আরাধনা।
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি জহর সরকারকে বাস্তব মনে করিয়ে লেখেন, 'ওটাকে দুর্গাপুজো বলে।' আরেকজন লেখেন, 'বাংলায় দুর্গাপুজো হয়। বাংলা নবরাত্রি উদযাপন করে না। তাছাড়♕াও বাঙালিরা এই সময় জমিয়ে মাছ মাংস খায়। নবরাত্রি যাঁরা করেন তাঁদের অসম্মান না করেই বলছি নিরামিষ খাওয়া হয় না এখানে।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'আপনি না বাঙালি? কোনটাকে কী বলে ভুলে গেছেন নাকি?' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'আপনি আমায় আগে বলুন বাঙালিরা কবে থেকে নবরাত্রি পালন করতে শুরু ক🎐রল? আমরা এখানে ওসব করি না। আমরা আমিষ খাই। দুর্গাপুজোয় মেতে উঠি জাত ধর্ম নির্বিশেষে।' অনেকে আবার তাঁর পোস্ট করা ছবিটির প্রশংসাও করেছেন।