১৯৯৭ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সেই স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অভিনেতা কবীর বেদীর ছেলে সিদ্ধার্থ বেদী আত্মহত্যা করেছিল💙েন। এবার প্রয়াত পুত্রকে নিয়ে মুখ খুললেন কবীর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই বর্ষীয়ান বলি-অভিনেতার আত্মজীবনী ' স্টোরিজ আই মাস্ট টেল : দ্য ইমোশনাল জার্নি অফ অ্যান অ্যাক্টর।' আত্মজীবনী নিয়ে কথা বলার ফাঁকেই প্রয়াত পুত্রের স্ম🧸ৃতিচারণা করলেন তিনি। এক ধরণের মানসিক রোগ স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। ছেলের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান যদি কোনও পরিবারের সদস্য মানসিক রোগে আক্রান্ত হন,তাহলে গোটা পরিবারের উচিৎ হাল না ছেড়ে আক্রান্তের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ভরসা দেওয়া, সাহস যোগানো।
মৃত পুত্র সম্পর্কে কবীর বেদীর কথায়,' সিদ্ধার্থ একজন অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষ ছিল। তাঁর কাজকর্মেও সেই ছাপ পাওয়া যেত। কিন্তু এরপরেই হঠাৎ একদিন তাঁর চিন্তাভাবনায় অস্থিরতা দেখা দেয়। শুরু হয় অসংলগ্ন আচরণও। আমরা প্রথমে ত🌳াঁর এই মানসিক সমস্যার কথা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি। দীর্ঘ তিন বছর ধরে এই অবস্থা চলার পর মন্ট্রিয়লের রাস্তায় তাঁর হিংস্রাত্মক আচরণের খবর আমাদের কানে আসে। ৮জন পুলিশ লেগেছিল সিদ্ধার্থকে নিয়ন্ত্রণে আনতে! এরপরেই ডাক্তারি পরীক্ষায় জা🔯না যায় স্কিৎজোফ্রেনিয়া নামের মানসিক সমস্যায় ভুগছে সিদ্ধার্থ।' এখানেই না থেমে এই বর্ষীয়ান অভিনেতা আরও জানান তাঁর পরিবার শত চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত এই ' যুদ্ধে ' তাঁরা হেরে গেছিলেন। এই প্রসঙ্গে নিজের বইতে কবীর লিখেছেন, দীর্ঘবছর ধরে আমার যে ছেলেকে চিনে এসেছি, হঠাৎই সে অন্য মানুষে পরিণত হলো।' কবীরের কথায়,' যদিও সিদ্ধার্থের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম তবু তাঁর চলে যাওয়ার অপরিসীম অপরাধবোধ আজও আমাকে কুরে কুরে খায়। '
অন্যদিকে কবীর বেদীর কন্যা পূজা বেদীও তাঁর🧔 ভাইয়ের স্মৃতিচারণা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন। পূজার কথায়, ' ভাইয়ের মৃত্যুর পর এক লহমাতেই বদলে গেছিল আমার জীবন!' সিদ্ধার্থ আর তিনি যে অভিন্নহৃদয়ের ছিলেন সেকথাও ল🦂িখেছেন পূজা।