বুকে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়া নিয়ে মেডিক্যাল দিন কয়েক আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কবীর সুমন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে൲ন। তবে থেমে নেই ‘গানওয়ালা’। ফেসবুকে একের পর এক বিস্ফোরণ সুস্থ হতেই। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দু-দিন আগেই বোমা ফাটিয়েছ🐻িলেন। এবার মাতৃভাষা নিয়ে সরব কবীর সুমন। নিজেকেও কাটক্ষ করতে ছাড়লেন না।
এদিন গীতশ্রী সন্ধ্য়া মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু পুরোনো এক রেকর্ডিং-এর ছবি শেয়ার করেন কবীর সুমন। তারপরেই একের পর এক প্রশ্নবাণ। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্ম-পুরস্কার প্রত্যাখানের ঘটনা মনে করিয়ে কবীর সুমন লেখেন, ‘এই 𓆏কন্ঠশিল্পীকে চেনেন কি? যে তাঁকে পরিচালনা ⛄করছে তাকে চেনেন বিলক্ষণ – ‘দুশ্চরিত্র, মহিলাবাজ’, ইত্যাদি ইত্যাদি। ঐ কন্ঠশিল্পী বাংলার, উপমহাদেশের, বিশ্বের গর্ব। তাঁকে ভারতরত্ন না দিয়ে পদ্মশ্রী দিয়ে অপমান করা হয়েছিল। কলকেতার এক পদ্মপণ্ডিত ‘শিল্পী' তখন বলেছিল ‘একটা পদ্মভূষণ দেওয়া যেত।’ সেই প্রাণীটাও ঐ খেতাব পেয়েছে যে! ভারতরত্ন কথাটা তার মুখ দিয়ে বেরোতে চায়নি।'
পদ্মশ্রী সম্মান গ্রহণ না করায় সেইসময় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ‘দেশদ্রোহী’ তকমাও পেতে হয়েছিল, আক্ষেপের সুরে লেখেন সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর কথায়, ‘এই মহাশিল্পী সেই পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান করায় ভারতের এক🉐 চ্যানেল তাঁকে ‘দেশদ্র🌌োহী’ বলেছিল। তাদেরই এক খোকা রিপোর্টার আমায় সমানে উত্যক্ত করায় তাকে আমি খিস্তি করেছিলাম। বেশ করেছিলাম।’
ফেব্রুয়ারি মানেই মাতৃভাষার মাস। সেই ভাষার মাসে নিজের ‘মাভাষা’কে কুর্নিশ জানিয়ে কবীর সুমন লেখেন-'আমার মাভাষা ঐ মহাশিল্পীরও (সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়) মাভাষা। এই ভাষায় আমি তাঁর জন্য ১২ টি গ🦄ান লিখে সুর করেছিলাম। আমায় যে বঙ্গজরা সমানে গাল দেয় তারা এখবর রাখে কি? রেকর্ডগুলি প্রকাশ করেছিলেন এইচ এম ভি/ সা রে গা মা।'
কবীর সুমন আরও লেখেন-'এই মহাশিল্পীকে দিয়ে আমি গাইয়েছিলাম আমার রচনা: ‘রংধনুটানা সেতু/ চলে গান স্বপ্নের মতো’। রংধনু কথাটি আমার জীবনে বাংলা🧸দেশের দান। ভাগ্যিস বাংলাদেশ হয়েছিল, ভাগ্যিস বাহান্নয় ঘটেছিল একুশ, ভাগ্যিস একদিন শুনেছিলাম বাংলার বজ্রকন্ঠ: ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম!’ ভাগ্যিস আমার মাভাষা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা!
আসছে ১৬ মার্চ ৭৫ পূর্ণ করে ৭৬ এ পড়ব। জীবন ফুরোতে চলল🦩। অনেক কিছুই শুকিয়ে এসেছে। তাও এখনও আমার মাভাষার ডাকে, আমার মাভাষার জন্য চোখে বান ডাকে। অহিংসায় বিশ্বাসী এই আমি আমার মাভাষার জন্য অন্তত ইঁটপাটকেল, মলোটভ ছুঁড়তে পারি। বন্দুক ধরার শক্তি আমার নেই।রংধনু! ধন্য বাংলাদেশ! ধন্য বাংলাভাষা!'