কাজল আর অজয় দেবগনের মেয়ে নাইসা দেবগনকে নিয়ে চর্চার কমতি নেই আজকাল। এমনকী, জনপ্রিয়তায় হোক বা ট্রোলে শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানাকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। শরীরে আঁটোসাটো পোশাক, ফ্যাশনিস্তা নাইসাই যেন এখন সব বলিউড জেন জেড পার্টির জান। নাইসাকে ফ্রেমবন্দি করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পাপারাৎজিদের মধ্যেও। সম্প্রতি মেয়ের এই জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া এল কাজলের থেকে। কাজল মেয়ের সম্পর্কে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, ‘আমি অবশ্যই তাকে নিয়ে গর্বিত বোধ করি। আমি এটা সত্যি ভালো লাগে যে নাইসা যেখানেই যাক না কেন সে মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করে। আমি শুধু বলতে পারি ওর বয়স মাত্র ১৯। আর এখন জীবনের মজা নিচ্ছে। ও যা চায় তা করার অধিকার ওর আছে। আমি সবসময় ওকে পূর্ণ সমর্থন করব।’সবচেয়ে বড় তারকা হওয়ার দৌড়ে তিনি কীভাবে উদ্বিগ্ন তা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে কাজল জবাব দেন যে, তিনি তার ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীনও সংখ্যার খেলায় মাতেননি কখনও। দর্শকদের কাছে তিনি কতটা জনপ্রিয় সে চিন্তা করেননি। এসব নিয়ে মাথাই ঘামান না, ‘আমি কখনই একজন তারকা হওয়ার বিষয়ে চিন্তিত নই। ইঁদুর দৌড়ে এক নম্বরে থাকার এই প্রবণতাও আমার কখনওই পছন্দ নয়। আমি সেসব নিয়ে ভাবিও না।’আর সবশেষে ট্রোল বা তাঁকে নিয়ে হওয়া কটুক্তি কী করে সামলান প্রশ্নে বরাবরের স্পষ্টবক্তা কাজল জবাব দেন, ‘‘আমার মা (অভিনেত্রী তনুজা) একটা কথা সবসময় বলত, ‘তুমি অন্যের সঙ্গে সেরকমই ব্যবহার করো, যেরকম ব্যবহার তুমি তাঁদের থেকে আশা করো।’ অনেক মার খেয়ে খেয়ে এটা শিখে গিয়েছি। এটা আমাদের মধ্যে গেঁথে গিয়েছে।’’প্রসঙ্গত, নাইসাকে আজকাল বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় ওরহান আত্রামানির সঙ্গে। যার সঙ্গে আগে পার্টি করতে দেখা যেন শ্রীদেবীর বড় মেয়ে জাহ্নবী কাপুরকে। মাসখানেক আগে এক পার্টির বাইরে অপ্রকৃতস্থ নেশায় টলমল করা নাইসার ভিডিয়ো খুব ভাইরাল হয়েছিল।কাজল-অজয় কন্যা সিঙ্গাপুরের গ্লিয়ন ইনস্টিটিউট অফ হায়ার এডুকেশন থেকে স্কুলিং শেষ করেছেন এবং সুইজারল্যান্ডে নিচ্ছিলেন উচ্চশিক্ষা। যদিও বর্তমানে বেশ কিছুদিন তিনি মুম্বইতেই। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে যোগ দেবেন কি না তা খোলসা করেননি অজয় বা কাজল কেউই। অজয়কে একবার মেয়ে নাইসাকে নিয়ে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি জানি না ও এই লাইনে আসতে চায় কি না! এই মুহূর্তে ও ইচ্ছুক কি না সেই ব্যাপারে আমার বা ওর মা কাজলের সঙ্গে কোনও কথা বলেনি। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, বিশেষ করে বাচ্চাদের মতিগতি বলা অসম্ভব। আপাতত ও বিদেশে পড়াশোনা করছে।’(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup )