বিতর্ক আর কাঞ্চন-শ্রীময়ী, যেন পরস্পরের পূরিপূরক হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সাল জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছেন এই দম্পতি। বছরের শুরুতে তাঁদের বিয়ের খবর শোরগোল ফেলেছিল। আর বছর শেষে তাঁদের সন্তানের আগমনের খবর ঘিরে হইচই। ৫৪ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বাবা হয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। তৃণমূল বিধায়কের তৃতীয় বিয়ে, স্ত্রীর সঙ্গে বয়সের ফারাক, বিয়ের মাত্র সাড়ে ৮ মাসে সন্তানের জন্ম, সব নিয়ে বিস্তর আলোচনা। আরও পড়ুন-১৪দিনের মেয়ে কোলে আতুঁড়ে শ্রীময়ী, তার মাঝেই রাস-পূর্ণিমার উ🌊দযাপন, কাঞ্চন-ঘরণীর আক্ষেপ..
তাঁদের ঘিরে এত্ত আলোচনায় ক্লান্ত কাঞ্চন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। এই সময়🌺কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, ‘আমি লুকোচুরি খেলায় বিশ্বাসী নই। আমি সাধারণ মানুষ। যেভাবে প্রত্যেকটা মানুষের সন্তান এলে লোকে বলে এটা এক্ষুণি সকলকে বলো না, গোপন রাখো। আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়টা ব্যক্তিগত রাখতে চেয়েছি। কৃষভি পৃথিবীতে এসেছ, সে নিজের মতো করে বাচুঁক এইটু♌কুই চাই।’
অন্তঃসত্ত্বা শ্রীময়ীর পাশে সারক্ষণ থাকতে পারেননি কাঞ্চন। সেইসময় ভুলভুলাইয়া ৩-র শ্যুটিংয়ে মুম্বই যাতায়াত করতে হয়েছিল। সেই আফসোস রয়েছে। তিনি বলেন.' তখন সে অন্তঃসত্ত্বা আমি বম্বে যাতায়াত 💯করছি। ওহ সেইসময়টা আমাকে মিস করেছে, আমিও করেছি। কী আর বলব! হয়ত ওহ ভাববে আমার এই পরিস্থিতি, আর তুমি মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে শ্যুটিং করছো।'
গর্ভাবস্থা কতটা কঠিন ছিল শ্রীময়ীর কাছে সেই নিয়েও মুখ খোলেন কাঞ্চন। মা হিসাবে শ্রীময়ীকে একশোয় একশো দিলেন অভিনেতা। তিনি বললেন, ‘মহিলারা সব ♛পারেন, ছেলেরা পারেন না। মহিলারা প্রেমিকা থেকে স্ত্রী, সেখান থেকে মা হয়ে উঠেন। নিজেরাই হয়ে ওঠেন। তার জন্য কোনও ওয়ার্কশপের দরকার পড়ে না। সময় এবং পরিস্থিতি মহিলাদের ম্যাচিওর করে তোলেন। শ্রীময়ী প্রচণ্ড অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে গেছে প্রেগন্যান্সির সময়। ওর শরীরে অনেক অসুস্থতা ধরা পড়ে। বিলিরুবিন হাই হয়ে যায়….. দিনে ৩০-৪০ বার বমি করত। রাতে ঘুম হত না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ৯টা মাস মহিলাদের পুরো সিস্টেমটাকে নিজেদের মধ্যে জারিত করতে হয় সেটা দেখেছি। হরমোন্যাল চেঞ্জেস হয়। একটা মহিলাদের প্রসব হওয়ার পর কত শারীরবৃত্তীয় হয়।’
বিয়ের তারিখের সঙ্গে মেয়ের জন্মের তরিখ হিসাব🐭-নিকাশ করছে নেটপাড়া। সেই নিয়ে ভাবিত নন কাঞ্চন। বলেই দিলেন, ‘বাসে একটা লেখা থাকে- আপনার ব্যবহারই আপনার পরিচয়, আমি ইচ্ছে করেই কমেন্ট বক্স বন্ধ করে দিয়েছি।’
ট্রোলারদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা,'আমার সন্তান আমার সদ্যোজাত একটা মেয়ে, সে পৃথিবীতে এসেছে। তাকে সুস্থভাবে বড় হতে দিন। অন্তত বাচ্চাটিকে ছেড়ে দিন। আমাকে শ্রীময়ীকে নিয়ে তো যা ইচ্ছে বলছেন। আপনাদেরও তো বাড়িতে বাচ্চা-কাচ্ছা রয়েছে। সে তো আপনাদের ক্ষতি করেনি। এটা অত্যন্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, কবে জন্মগ্রহণ করেছে। সেই নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। আমার তো ভাবতেও খারাপ লাগে। আমি তো অন্য কারুর সন্🍃তান নিয়ে এই ধরণের আলোচনা করতে পারব না। আমরা দুজনের ইচ্ছেই আমাদের সন্তানকে পৃথিবীতে এনেছি। তার প্রমাণপত্র কাউকে দিতে রাজি নই।'