স্ত্রী আলিয়ার সঙ্গে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির আইনি লড়াই জারি রয়েছে। সম্প্রতি স্বামীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন স্ত্রী আলিয়া। নওয়াজের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তাঁর নিজের ভাই শ🐟ামস। তবে তারপরেও সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি নওয়াজ। দীর্ঘ নিরাবতার পর অবশেষে সোমবার মুখ খুলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন লম্বা বিবৃতি। আর এরপরেই ফের সহ অভিনেতা নওয়াজের পাশে দাঁড়ালেন কঙ্গনাﷺ রানাওয়াত।
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির উদ্দেশ্যে কঙ্গনা লিখেছেন, চুপ থাকার কারণে অনেকেই তাঁকে 'ব্যাড বয়' তকমা দিয়েছেন। অভিনেতার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন কঙ্গনা। নওয়াজের পোস্টটি শেয়ার করে কঙ্গনা লেখেন, ‘নিরবতা সবসময় আমাদের শান্তি দেয় না নওয়াজ সাব। অ✤পনার বহু অনুরাগী, শুভাকাঙ্খী রয়েছেন, যাঁরা আপনার দিকটাও জানতে চান।’
তবে এই প্রথম নয়, নওয়াজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে তর্ক, বিতর্কের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন আলিয়া সিদ্দিকি। সেই ভিডিয়োটি দেখেও চটেছিলেন কঙ্গনা। নওয়াজের পক্ষ নিয়ে লিখেছিলেন, ‘ওঁর প্রাক্তন বউয়ের সঙ্গে কখনও আমার সাক্ষাৎ হয়নি। হঠাৎ করে এখন উনি এই বাংলোর দখলদারি নেওয়ার চেষ্টা করছেন। নওয়াজ সাবকে ঢুকতেও দিচ্ছে না। দেখলাম এত বড় অভিনেতাতে বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিডিয়ো করছেন। এইসব কী বদমাইশি! আমার কান্না পেয়েছিল এসব দেখে। অভিনয়ের করে টাকা রোজগার করা মোটেও সহজ নয়।কঠোর পরিশ্রম করতে হয় এরজন্য। উনি কীভাবে পারলেন এ🎶ভাবে নওয়াজ সাবকে দরজা বন্ধ করে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখতে?’
কঙ্গনা আরও লিখেছিলেন, ‘নও✤য়াজসাবকে নিজের সবকিছু পরিবারকে দিয়ে দিয়েছেন। ভাড়া বাড়িতে থাকছেন, টিকু ওয়েডস শেরুর সেটে রিক্সা করে আসতেন। অথচ গত বছরই এই বাংলোটা কিনেছিলেন। খুব খারাপ লাগছে এসব দেখে।’
এদিকে সোমবার বিবৃতি দিয়ে নওয়াজ জানিয়েছেন, বেশ কয়েকবছর তিনি এবং আলিয়া একসঙ্গে থাকেন না, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তাঁরা এতদিন সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়েই নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেছিলেন। জানিয়েছেন, গ⭕ত ৪৫ দিন ধরে🦹 বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে না, সেজন্য দুবাইয়ের স্কুল থেকে বারবার চিঠি আসছে। অভিনেতা জানান, কোনও অভিভাবক চাইবেন না, বাচ্চার পড়াশোনা বাধা আসুক, তিনি যা রোজগার করছেন সবই দুই সন্তানের জন্য। জানান, তিনি তাঁর দুই সন্তান শোরা এবং ইয়ানকে ভালোবাসেন, তাঁদের সুরক্ষার জন্য পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে যেতে পারেন। সবশেষে লেখেনস ভালোবাসা মানে কাউকে আটকে রাখা নয়, কাউকে সঠিক পথে উড়তে দেওয়া।