দুই ছেলের জন্ম দিয়ে ফেলেছেন। নিয়ে এসেছেন প্রেগন্যান্সি নিয়ে নিজের লেখা বই ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’! তবুও নিজেকে 🦹‘নিখুঁত’ বা ‘পারফেক্ট’ মা বলতে রাজি নন করিনা কাপুর খান। বই প্রকাশের সময়ে কথাোপকথনে জানিয়েছেন তৈমুরের জন্মের পর কীভাবে ছোটখাটো নানা বিষয় নিয়ে প্রায় যুদ্ধ করতে হত তাঁকে।
সইফ আলি খান ও করিনা কাপুরের দুই পুত্র সন্তান-- চার বছরের তৈমুর আলি খান ও চার মাসের জেহ আলি খান। করিনা নিজের বই প্রেগন্যান্সি বাইবেলে লিখেছেন, ‘তিনি দুই সন্তানকে বড় করার সময়তেই একটা আদর্শে বিশ্বাস করেন, আর তা হল নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করো আর তারপর রিল্যাক্স করো।’ তৈমুর আর জেহ-কে বড় করার পাশাপাশি নিজের কেরিয়ারে ফোকাস রেখে গিয়েছেন। বরং বলা চলে, কয়েক সপ্তাহের ছোট্ট ব্রেক ছাড়া সেভাবে বাড়িতে বসে থাকেননি করিনা। আর সেই সিক্রেট নিজেই ফাঁস করেছেন বইতে। করিনা লিখেছেন, ‘প্রথমবার মা হওয়ার কাজ বাচ্চার ছোটছোট কাজ ছড়িয়ে ফেলার মধ্যে আলাদাই একটা মজা আছে। আমি তৈমুরের পটি পরিষ্কার পরতে পারতাম না ঠিক করে। না ওকে ডায়পার পরাতেꦆ পারতাম ঠিকঠাক। ডায়পার ঠিকভাবে না পরানোর জন্য কতবার তা লিক করেছে। তবে আমি বিশ্বাস করি তোমার পক্ষে ঠিক যতটা সম্ভব ততটুকুই করো। তোমার সন্তান ঠিক বুঝে নেবে তোমাকে। এটা মেনে চলতাম বলেই আমার পক্ষে এত জলদি কাজে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’
জেহ-র জন্ম হওয়ার মাস 🧔খানেকের মধ্যেই নেটফ্লিক্সের সেলেব্রিটি কুকিং শো-তে দেখা মিলেছিল করিনার। তৈমুরের বয়স মাত্র ৪০ দিন যখন, তখনও কাজে ফিরতে দেখা গিয়েছিল করিনাকে। দুটো প্রোগন্যান্সির সময়তেই চুটিয়ে কাজ করেছেন। ফ্যাশন শো, অ্যাড ক্যাম্পেন, শো হোস্টিং-- বাদ দেননি কিছুই।