এবার কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে হাজির হতে চলেছেন কার্তিক আরিয়ান ও বিদ্যা বালান। ‘ভুল ভলাইয়া- ৩’তে দেখা যাবে কার্তিক-বিদ্যা জুটিকে। সমাজসেবা মূলক কিছু কাজের জন্যই এবার KBC-তে হাজির হতে চলেছে এই জুটি। 'হামারা ফাউন্ডেশন' নামে একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সাহায্যের জন্য অমিতাভ বচ্চন সঞ্চালিত এই শোয়ে হাজির 🧜হয়েছিলেন বিদ্যা। আর কার্তিক এসেছিলেন 'হামারা ফাউন্ডেশন' ও টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালকে সাহায্যের জন্য।
এবার ক্রোড়পতিতে হাজির হয়েই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেন কার্তিক। তিনি বিগ বি কে জানা▨ন, কয়েক বꦆছর আগে তাঁর মায়ের ক্যানসার ধরা পড়েছিল, তখন তাঁর মা কীভাবে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করেছেন। এপিসোডে কার্তিকের বাবা-মাও বিশেষ অতিথি হিসাবে শোয়ে হাজির হয়েছিলেন।
কার্তিক বিগ বি অমিতাভ বচ্চনকে বলেন, ‘ไযখন আমি আমার প্রথম ছবি প্যায়ার কা পঞ্চনামা-র অডিশন পাশ করেছিলাম, তারপরই আমি মা-বাবাকে বলি যে আমি অভিনেতা হতে চাই।’ কার্তিক বলেন, ‘আমার মনে আছে, সেটা আমার কাছে আবেগঘন একটা মুহূর্ত ছিল। আমি কাঁদতে কাঁদতে আন্ধেরি স্টেশনে হাজিরཧ হয়েছিলাম। ওখান থেকেই মা-বাবাকে ফোন করি। আমি তো কাঁদছিলাম, হঠাৎ করে দেখি মাও কাঁদতে শুরু করলেন, এটা ভেবে যে ছেলে এসব কী বলছে!’
আরও পড়ুন-ভাইপো বাড়ি যেতে পারেনি, বাঁকুড়া থেকে অ😼ভিনেতার প্রিয় ‘রচনা’কে পাঠালেন ভাস্বরের কাকা
ছেলের কথা প্রসঙ্গে কার্তিকের মা বলেন, ‘ছেলে তখন আনন্দে কাঁদছে যে মা আমি প্রোজেক্ট পেয়ে গিয়েছি, আর আমি কাঁদছি, যে কেন ও পেল! এ꧃র থেকে ও ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সেটল হয়ে যেত জীবনে। এখনও ও স্ট্রাগল করে যাচ্ছে। প্রতিটা ছবির🐈 আগেই স্ট্রাগল।’ অভিনেতার বাবা তখন জানান, তিনি ছেলেকে একটা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিও করে দিয়েছিলেন। তবে এরপরেও নাকি তিনি চাননি ছেলে ডাক্তার হোক। আর তাঁর এমন কথায় হতবাক হয়ে যান কার্তিক ও তাঁর মা।
কার্তিক ফের বলেন, ‘এর ঠিক ২-দিন পর আমার মা ও মাসি লাভ রঞ্জনের অফিসে হাজির হয়েছিলেন। তখন আমি একটা রোম্যান্টিক দৃশ্যের শ্যুটিং করছি। আর মা-মাসি তখ সেটা ল্যাপটপে দেখছিলেন।’ কার্তিকের মুখে এমন কথা শুনেই হেসে ফেলেন অমিতাভ বচ্চন। কার্তিক বলেন, ‘সেসময়ই আসলে আমার প্রকৃত যাত্রা শুরু হয়েছিল। কার্তিক বলেন, যখন আমি প্রোজেক্টে কাজ করছিলাম, তখন কখনওই ভাবিনি, যে ওটা ওদের প্রোজেক্ট, ভেবে🐲ছিলাম, ওটা আমার নিজের। কখনওই ওভার কনফিডেন্টও ছিলাম না।’