অনুষ্ঠানে আসার কথা দিয়েও কথা রাখেননি বলিউডের 'বেবি ডল'। অথচ পারিশ্রমিক বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা নিজের পকেটে পুড📖়েছেন- সানির বিরুদ্ধে এমনই জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল কোচির এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা। অভিযোগের ভিত্তিতে সানির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাও দায়ের করেছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
কেরল হাই কোর্টে বিচারাধীন সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল আদালত। সানির আবেদনের ভিত্তিতে এই অন্তর্বতীকালীন নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করবার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন করণজিৎ কৌর (সানি লিওন)। বুধবার সানি, অভিনেত্রীর স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার এবং অফিসের এক কর্মীর বিরুদ্ধে এই প্রতারণা মামলায় স্থগিতাদেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি জিয়াদ রহমান। 🔯পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সানি বা অপর দুজনের বিরুদ্ধে কোনও রকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না।
তিন বছর আগে কোচিতে একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আগামဣ ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সানি, কিন্তু অনুষ্ঠানে যোগ দেননি অভিনেত্রী, এমনটাই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।&nb💎sp;
কেরালার পুলিশের প্রধানের কাছে অভিযোগ দায়ের করে পেরুম্বাভুরের বাসিন্দা আর শিয়াস নামে এক ব্যক্তি। এর ভিত্তিতে গত বছর সানিকে দু-বার জিজ্ঞাসাবাদ করে এর্নাকুলাম ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। সানি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও রাজি কিংবা টাকা ফিরিয়ে দিতেও যদি দুই পক্ষ বিবাদ মিটিয়ে নিতে চায়। সানির কথায়, তাঁর ম্যানেজার ওই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটরের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন একথা সত্য, নির্দিষ্ট তারিখও দেওয়া হয়েছিল। তবে অর্গানাইজাররা বারবার অনুষ্ঠানে তাꦐরিখ বদলাতে থাকে। সেইজন্যই সানি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
যদিও অভিযোগকারী শিয়🍸াস সানির প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি হয়নি, পাশাপাশি আয়োজকদের ঢিলেমির জন্যই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি সানি- সেই অভিযোগও মানতে নারাজ সে। এই মামলায় আগেই সানি-সহ বাকি দু-জনের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছিল🀅 হাইকোর্ট।
হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদনে সানি জানিয়েছেন, এই মামলার জেরে অভিযোগকারীদের কোনও ক্ষতি হয়নি, বরং সানির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি সানি আরও জানান, গত বছর জুলাই মাসে এই ঘটনায় দেওয়ানি মামলা দায়ের হয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যা খারিজ হয়ে গিয়েছে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে। তাꦬই এই মামলা থেকে তাঁকে অবিলম্বনে অব্যাহ🐷তি দেওয়া হোক।