‘জন্মভূমি’র স্বর্ণময়ীকে আজও ভুলতে পারেনি দর্শক। ‘আই অ্যাম দ꧋্য বেস্ট’- এই বিশ্বাস নিয়েই বাঁচেন ‘স্বর্ণময়ী’ চৈতালি চক্রবর্তী। বাংলা বিনোদন জগতের অতিপরিচিত মুখ চৈতালি। ‘জন্মভূমি’ থেকে ‘কিরণমালা’- একাধিক আইকনিক সিরিয়ালে গুরুত্বপূর্ণ ভূ🌼মিকায় তাঁকে দেখেছে দর্শক। নেগেটিভ চরিত্রকে এত সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তোলবার দক্ষতা খুব কম অভিনেত্রীর মধ্যেই রয়েছে। আর হবে নাই বা কেন? অভিনয়টা তো চৈতালির রক্তে!
অভিনেত্রীর দিদিমা দিপালি চক্রবর্তী থেকে শুরু করে মা শেলি পাল, বাবা পরিতোষ পাল, সবাই ছিলেন বিখ্যাত নাট্যদল ‘নান্দীকার’-এর 🐻সদস্য। ছোট থেকেই রিহার্সাল, গ্রিন রুম, নাটক- এই সব শব্দ শুনেই বড় হয়ে ওঠা তাঁর। কিন্তু তাই বলে অভিনয়ের জগতে আসতে কম স্ট্রাগল করতে হয়নি চৈতালি দেবীকে। সম্প্রতি নিজের জীবনের লড়াই নিয়ে মুﷺখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
অভিনয়ের প্রতি নেশা ছোট থেকেই। এর জেরেই শাঁওলি মিত্রের 'পঞ্চম বৈদিক' দলে প🔴্রথম যুক্ত হন চৈতালি। অভিনেত্রীর অভিযোগ সেখানে পাঁচ বছর ফাইফরমাশ খাটানো হলেও অভিনয়ে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘চোখে জল নিয়ে ডিমার ঠেলতাম’।
অজিতেশ নাট্য অ্যাকাডেমির ‘তিন পয়সার পালা’ নাটকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন চৈতালি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সাধারণ বাঙালি মেয়েদের চেয়ে বেশি লম্বা,আমি কালো, আমাকে ভালো নয়…- কিন্তু তাতে আমার কিছু আসেওনি, যাওনি'। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু আফসোস তো থেকেই যায়। কলকাতার রঞ্চমঞ্চে দাপিয়ে বেড়ানোর সময়েই বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ‘লাল দরজা’ ছবিতে কাজের সুযোগ পান চৈতালি। ছবির অফারের কথা শুনে চোখে জল চলে এসেছিল তাঁর, তিনি পালটা জানান- ‘স্যার, আই অ্যাম প্রেগন্যান্ট’। পরবর্তীতে এই ঘটনা জেনে চৈতালীর মেয়ের কী প🍒্রতিক্রিয়া ছিল? সে জানায়, ‘ওহ মাই গড! তুমি অ্যাবরশন করিয়ে নাওনি কেন?’ চৈতালির কথায়, মধ্যবিত্ত মানসিকতায় বেড়ে ওঠা তাঁর পক্ষে ছবিতে কাজের সুযোগ পেতে একটা হত্যা করা সম্ভবপর হয়নি। তিনি পারেননি।
মেয়ের বয়স যখন এক বছর তখন ‘জন্মভূমি’ সিরিয়ালে সুযোগ পান চৈতালি চক্রবর্তী। কিন্তু এরপরও ঝড় থামেনি জীবনে। ডꦺিভোর্সের মধ্যে দিয়ে যান চৈতালি, অনিশ্চিত জীবন তাই বাধ্য হয়েই থা♉কতে হয়েছিল মেয়েকে ছেড়ে। কিন্তু তবু থেমে থাকেননি তিনি। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। নিজের রোজগারের টাকায় কিনেছেন ফ্ল্যাট, পছন্দের গাড়ি। ইন্ডাস্ট্রির অনেক কলিগের কাছে ‘রাক্ষসী’ কটাক্ষ শুনেছেন। তবু সব নেগেটিভিটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জীবন পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন। কারণ ‘কে কী বলল তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না- এই বিশ্বাস নিয়েই বাঁচেন তিনি।