কলকাতার এক নৃত্যশিল্পী সোহিনী রায়চৌধুরীকে ব্রিটিশ সংসদে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁকে সেখানে নাচ করার জন্য আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে। তিনি তাঁর গোটা দল নিয়ে আগামী ১২ জুন হাউজ অব কমনসে নৃত্য প্রদর্শন করবেন। প্রসঙ্গত সোহিনীর এই দলে ইরাক, বুলগেরিয়ার মতো দেশের নাগরিকরাও আছেন সদস্য হিসেবে। তাঁরা সকলে একত্রে শক্তি তথা দেবী দুর্গা এবং কালীর জয়গাঁথ🌊া পারফর্ম করবেন সেখানে। থাকবে নারীবাদের ছোঁয়াও।
কলকাতা এবং হাউজ অব কমনসের একটা দীর্ঘদিনের যোগাযোগ, যোগসূত্র আছে। প্রথমবার ১৯৯০ সালের ৩০ জুন সেতার বাদক পণ্ডিত বুধাদিত💟্য মুখোপাধ্যায🔯় সেখানে অনুষ্ঠান করেন। তিনিই প্রথম কোনও ভারতীয়, বাঙালি তথা সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন যিনি এই হাউজ অব কমনসে অনুষ্ঠান করেছিলেন। বা অনুষ্ঠান করার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
সোহিনী তাঁর এই আমন্ত্রণের বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েꦗছেন 'আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। ওঁরা আমায় সেখানে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে অত্যন্ত গর্বিত আমি। কলকাতা আমার কাছে মানবিকতা আর আন্তরিকতার মেলবন্ধন। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আমায় নাচ করার 𒅌জন্য কবি তথা লেখক টিএম কেশর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।'
কিন্তু সেখানে প্রদর্শনের জন্য সোহিনী কেন এমন একটা টপিক বাছলেন? 𓆏উত্তরে তিনি জানান আমাদের মহাকাব্য, পুরান, বেদে এমন অনেক কিছু আছে যা আজও ভীষণ প্রাসঙ্গিক এবং যা পাশ্চাত্যের মানুষদের কাছে পৌঁছানো উচিত। তাঁর কথায় 'আমার নাচের মধ্যে দিয়ে আমি মা দুর্গার গল্প, শক্তির কথা তুলে ধরব। এবং এখানেই ম🅠া কালীকে চরম নারীবাদীর রূপে তুলে ধরা হবে।' যদিও সোহিনীর এই শোয়ের থিম হল এই বিশ্ব একটাই, বিশ্বের সকলেই এক। সেটা তাঁর দলের সদস্যদের মধ্য দিয়েই ফুটে উঠবে। এখানে বুলগেরিয়ার বাসিন্দা থেকে ইরাকের বাসিন্দা সহ অনেকেই আছেন।
এর আগেও ব্রিটিশ সংসদে নানা সময়ে নানা ধরনের নাচ প্রদর্শিত হয়েছে। গত বছর ক্যানসার জয়ী থিয়া উইলসন পোল ড্যান্স করে দেখান। সকলের থেকে 🐻দারুণ প্রশংসাও পান তিনি। এছাড়া লন্ডনের রাগসুধা বিঞ্জমুরি একাধিকবার এখানে তাঁর ভরতনাট্যম প্রদর্শিত করেছেন।