আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বড় রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের মামলা রাজ্য পুলিশে আস্থা রাখতে পারল না হাইকোর্ট। বুধবার বেলা ১০টার♏ মধ্যে রাজ্য় পুলিশকে মামলা সঁপে দিতে হবে সিবিআইকে। সিদ্ধান্তে খানিক স্বস্তিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে নারকীয় যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় চারিদিকে প্রতিবাদের ঝড়, সেই প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় রেডিও জকি অগ্নি। এক এফএম চ্যানেলের অন্যতম মুখ তিনি। লালবাজারের তরফে আরজি কর কাণ্ডে তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা🍃 হয়।
এদিন অগ্নিকে লালবাজারে দেখে চমকে যান সাংবাদিকরা। পরে জানা যায়, ফেসবুকে আরজি কর নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলে অগ্নি, সেই পোস্টের জন্যই ডাক পড়েছিল তাঁর। জেরার পর বেরিয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত রাখলেন অগ্নি। তিনি লেখেন, ‘লালবাজারের তলব পেয়ে গিয়েছিলাম। ওঁনারা খুবই সহযোগিতা করেছেন। প্রোডাক্টিভ আলোচনা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে কোনওরকম পোস্ট করায় ওঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সেই সংবাদ অথবা তথ্য যেন যাচাই করে পরিবেশন করা হয়। ওঁনারা বিশে🐷ষভাবে আমাদের মাধ্যমে অনুরোধ করেছেন, কাউকে ফেক নিউজ বা ভুয়ো তথ্য না ছড়াতে। তাঁরা নিজেরাও যথেষ্ট ডিস্টার্ব এই ঘটনা। ওঁনাদেরকে অনেক শুভেচ্ছা। আমরা সবাই বিচারের জন্য লড়ছি’।
এরপর তিনি জানান, আগামিকাল অর্থাৎ ১৪ই অগস্ট রাতে, মেয়েদের রাত দখলের ডাকে সাড়া দিয়ে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের জমায়েতে থাকবেন তিনি।🔯 অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে, নারীদের সুরক্ষার জন্য গলা ফাটাবেন।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে অসংখ্য পোস্ট করেছেন আরজে অগ্নি। কলকাতা পুলিশের আপত্তি একটি পোস্ট ঘিরেই। বেশ কিছু ভুয়ো তথ্য়-সহ একটি পোস্ট তাঁর দেওয়ালে ছিল, যা ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেল༒া হয়েছে।
ওই মহিলা ডাক্তারের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে উঠে এসেছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। চিকিৎসকের গোপনাঙ্গ, চোখ ও মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্✃ছিল। মুখে ও নখেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার পেট, বাঁ পা, ঘাড়, ডান হাতে ও ঠোঁটেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। ঘাড়ের হাড়ও ভেঙে যায়। ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই মামলার কিনারার জন্য রবিবার পর্যন্ত পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার আগেই হাইকো🌊র্টের রায়ে মামলা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।