চলতি বছরের শুরুতেই সপ্তম বিবাহবার্ষিকী সেলিব্রেট করেছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রযোজক সুরজিৎ হরির দ্বিতীয় স্ত্রী কনীনিকা। ভালোবেসে পরস্পরের হাত ধরেছিলেন। টলিপাড়ায় নতু গুঞ্জন কনীনিকার সুখী দাম্পত্যে নাকি ফাটল ধরেছে! আরও পড়ুন-‘সবাই বলে ও তো সৎ মা…’! বরের আগের꧒ পক্ষᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚের ছেলে ধ্রুবর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক কণীনিকার
দুজনের একমাত্র সন্তান অন্তঃকরণা, ডাকনাম কিয়া। সুরজিতের প্রথম পক্ষের সন্তানের সঙ্গেও দারুণ বন্ডিং কনীনিকার। সদ্যই হইচই করে মেয়ের পাঁচ বছরের জন্মদিন পালন করেছেন অভিনেত্রী। তারমাঝেই ডিভোর্সের গুঞ্জনে জেরবার অভিনেত্রী। অরিন্দম শীলের ‘মিতিন মাসি’র শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী। তার মাঝেই দা𝕴ম্পত্য জীবন নিয়ে অকারণ গুঞ্জনে খানিক বিরক্ত নায়িকা। হালকা মেজাজেই বললেন, ‘হয়ত অনেক অনুষ্ঠানে বরকে ছাড়াই চলে য❀াচ্ছি, তাই…’।
কিন্তু শুধু কি এই কারণেই রটনা? এমনিতে সোশ্যা🐠ল মিডিয়ায় প্রচণ্ড অ্যাক্টিভ কনীনিকা এমনটা বলা যাবে না। সপ্তাহ খানেক আগে বর এবং সৎ পুত্রকে নিয়ে মেয়ের চতুর্থ জন্মদিনের সেলিব্রেশনের ঝলক শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কনীনিকা স্পষ্ট করেন, কোনও ব্যক্তিকে নিজে ‘আমার’ ‘আমার’ করার বয়স পার করে ফেলেছেন তিনি।
সংসার-সন্তান নিয়ে তিনি সুখে আছেন, তার পরেও গুঞ্জন ছড়ালে তাঁর কিছু করার নেই। সংসার﷽ সামলেই অভিনয়ে মন কনীনিকার। এখন অভিনেত্রীর কাছে আগে সংসার, পরে কেরিয়ার। পাশাপাশি এও জানালেন, ‘পরকীয়া🐠 আইনসিদ্ধ। ফলে, এই নিয়ে কিছু বলার নেই। সুরজিতেরও ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে’। সব জায়গায় বরের সঙ্গে যেতে হবে এমন কোনও কথা নেই, তবে অভিনেত্রী মনে করালেন, ‘সুরজিৎ যার খুশি হোক। ও আমার মেয়ের বাবা। এটুকু বলতে পারি। এটুকুই আমার কাছে যথেষ্ট’।
ষড়রিপুর ছবিতে কাজ করতে গিয়ে প্রযোজক সুরজিৎ হরির সঙ্গে প্রেম কনীনিকার। আগে লং ট্রাম সম্পর্ক ভাঙার পর রীতিমতো ডি꧋প্রেশনে ছিলেন অভিনেত্রী। চার বছর পর সুরজিৎ-এর হাত ধরে জীবনের নতুন ইনিংস 🐻শুরু করেন।
সুরজিতের সঙ্গে যখন কনীনিকার সম্পর্ক শুরু, তখন সুরজিতের বড় ছেলে ধ্রুবর বয়স এগারো। সৎ মা হিসাবে নয়, শুরু থেকে বন্ধু হিসাবে ধ্রুবর সঙ্গে মিশেছেন কনীনিকা। ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কনীনিকা স🃏ম্প্রতি জানিয়েছেন, ধ্রুব (দ্রোণ)-র কাছে কৃতজ্ঞ, যে সে তাঁকে মায়ের জায়গা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, যেমন মেয়েকে শাসন করেন, তেমনই সৎ ছেলেকেও। তবে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকেন। খেয়াল রাখেন, যেন ছেলের মনে কখনও আঘাত না আনে। বললেন, ‘তবে জানেন, সন্তানের চরিত্র গঠনে, তাকে শাসন করা কতটা জরুরি’। তাই ধ্রুবকে বকাবকি করতে পিছ পা হন না। মজার ছলেই বললেন, ‘আমি তো🎃 বকা দিই। তারপর বলি আবার তো পরে বলবি নিজের মা না’!