জুনিয়র ডাক্তারদের কটাক্ষ করে তীব্র রোষের মুখে কাঞ্চন মল্লিক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর টনক নড়ে তৃণমূল বিধায়কের। সোমবার গভীর রাতে ফেসবুকে 🍃ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন কাঞ্চন। কি෴ন্তু সেই ক্ষমাপ্রার্থনায় সন্তুষ্ট নয় আম জনতা থেকে টলিপাড়া। বিশেষত স্বামী-স্ত্রী ক্ষমা চাইতে যে গল্প বলেছেন, তা বিশ্বাসযোগ্য ঠেকছে না অনেকের কাছেই।
এর মাঝেই কাঞ্চন মল্লিককে আয়না দেখালেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জন্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যহত মান꧋তে না-রাজ কনীনিকা। বরং, সিনিয়র ডাক্তাররা প্রাণপাত করে সেবা দিয়ে চলেছেন জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে, স্পষ্ট করেন অভি♈নেত্রী।
বাইরে থেকে এই কথা বলছেন না কনীনিকা। 💜অভিনেত্রীর মা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা তিনি, গত কয়েকমাস যাবত নিয়মিত সরকারি হাসপাতালে যাতায়াত তাঁর। নিজে চাক্ষুস সবটাই থেকেই কাঞ্চনের ‘মিথ্যে’টা তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।
এদিন ফেসবুক লাইভে এসে কনীনিকা বলেন, ‘আমার মা গত ৬ মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। অনেক হাসপাতালে ঘু꧃রেছি, আপতত মা একটা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তার মধ্যেই তিলোত্তমার এই ঘটনাটা ঘটে। আমার-বাবা-কাকা আ🦩মি, সরকারি হাসপাতালে রোজ যাতায়াত করি। জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিবাদ করছে…. যারা বলছে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে না, তারা মিথ্যে কথা বলছে। আমারকে যে সিনিয়র ডাক্তার দেখছেন, তিনি মধ্যরাতে এসেও দেখে যাচ্ছেন।’
কনীনিকা আরও বলেন, ‘এই ঘটনা ঘটার পরেও আমি ওপিডি-তে দাঁড়িয়ে আমার মা-রা চিকিৎসা করিয়েছি। তাই যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাইনি, সেটা ভুল। আমরা তো সাধারণ মানুষ। তাই এএলএ, এপমি তাদের তো এমনি সোর্স বেশি। আমাদের তো সোর্সই নেই। আমরা তো বেডের জন্য তাদেরই ফোন করি। কিন্তু তারা যখন সাধারণ মানুষকে ভুল তথ্য দেয়, সেটা ঠিক নয়। আমি প্রতিদিন হাসপাতালে যাই, এই মাত্র সেখ𒊎ান থেকেই আসছি। তোমার ভিডিয়োটা দেখে মনে হল বলা উচিত, সিনিয়র ডাক্তাররা যে পরিমাণ খাটছে….জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্নায় নেমেছে, ঠিক কাজ করছে’।
এই কাঞ্চনকে চিনতে পারছেন না কনীনিকা। অভিনেত্রী আফসোসের সুরে বলেন, ‘তুমি যখন ওদের বয়সে ছিলে⛄, অন্যায় হলে তুমিও প্রতিবাদ করতে, তোমায় চিনতে পারছি না কাঞ্চনদা…’। সব শেষে কনীনিকা প্রশ্ন তোলেন, যে মাইনে নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন কাঞ্চন, সেই টাকা সরকারের কাছে কোথা থেকে আসে? তিনি বলেন, ‘চাকরির পয়সাগুলো কে জোগায়? আমাদের চাকরি থেকে ৩০% ট্যাক্স দিতে হয়।…. ডꦯাক্তাররা খাটছে, ডাক্তাররা মানুষের পাশে আছে। আমিও মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে আছি’।
ভিডিয়ো বার্তায় কাঞ্চন ক্🐠ষমা চেয়ে বলেন, তাঁর এক বন্ধুর মায়ের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। অনেক সরকারি হাসপাতালে ছোটাছুটি করেও চিকিৎসকদের ধর্মঘট থাকায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তাই হতাশায় এই কথা বলে ফেল🐎েছেন!