জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে দিদি নম্বর-১ এ আয়োজিত হয়েছিল স্পেশাল এপিসোড।🎉 আর সেখানেই হাজির হয়েছিলেন মায়াপুরের বিদেশিনী সন্ন্যাসীরা। এরই মাঝে একজনের নামে নাম শুনে মুগ্ধ হন সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথায় কথায় উঠে আসে আরও নানান কথা। ওই সন্ন্যাসিনী জানান, তাঁর নাম মাধুরী মহিমা। তিনি জানান, ওই নাম তাঁকে তাঁর গুরু দিয়েছিলেন। আসল নাম কী ছিল জানতে চাইলে কঠিন একটা নাম বলেন ওই সন্ন্যাসী, জানান তাঁর নাম ছিল জুলিয়া খরিতনুয়া। রচনা প্রশ্ন করে জুলিয়া থেকে তি🐭নি মাধুরী মহিমা দেবী দাসী কীভাবে হলেন?
রচনার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই অনেক কথা বলেন বলেন মাধুরী। বলেন, তাঁর গুরু তাঁকে মায়াপুরে নিয়ে যান। জানান, মায়াপুরে গিয়ে তাঁর সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিনি পেশায় অভিনেত্রী। একসময় থিয়েটার করতেন। জানান, এখন মায়াপুরের তরফে আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজে অংশ নেন তিনি। শ্রীমৎ ভাগবত থেকে বিভিন্ন নাটকে তিনি অভিনয় করেন। এক্ষেত্রে তিনি কৃষ্ণ সাজের বলে জানান মাধুরী মহিমা। বলেন, আমি অনেক আশীর্বাদধন্য, তারজন্য আমার গুরুদেবকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। জন্মাষ্টমী প্রসঙ্গে মাধুরী মহিমা বাংলায় বলেন, ‘এটা আমারা প্রিয় উৎসবা’। তাঁর মুখে মিষ্টি বাংলা শুনে হেসে🌠 ফেসেন রচনা, তিনিও পাল্টা জানান, এটা আমাদেরও প্রিয় উৎসব।
আরও পড়ুন-হাতে শাঁখা-পলা! পুরোদস্তুর বাঙালি সাজ, বলিউডের দিব্যাকে নিয়ে 🍸কালীঘাটে যশ, ব্যাপার কী!
আরও পড়ুন-দেশে 🐎'জওয়ান' ঝড়, এর মাঝে শাহরুখের থেকে ২৫কোটি ঘুষ চাওয়ার মামলায় স্বস্তিতে সমীর ওয়াংখেড়ে
নিজের পরিবারের পরিচয় দিতে গিয়ে মাধুরী জানান, 'আমার মা মুসলিম, আমার বাবা ক্রিশ্চান, আমার পরিবার ভালো, তবে সেখানে আমি ছাড়ার আর কেউ বৈষ্ণব নেই।' তিনি কেন বৈষ্ণব ধর্ম নিলেন? রচনার প্রশ্ন, মাধুরী জানন, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমি ক্রিশ্চন ছিলাম, আবার আমার বোন মুসলিম ধর্মালম্বী ছিল। ভিন্ন ধর্ম, তবে আমি বুঝেছিলাম, ঈশ্বর আসলে এক। ছোটথেকেই আমি ঈশ্বরকে জানতে চাইতাম, নিরামিষাশী হওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে তখন সম্ভব ছিল না। তারপর যখন আমি কৃষ্ণমন্দিরে গিয়ে হরেকৃষ্ণ, তখনই অনুভূতি হত, 'মি তো এটাই চাই, এখানেই থাকতে চাই। তারপর থেকে গুরুর কাছে দীক্ষা 💝নিয়ে ইসকনেই থেকে যাই।' মাধুরী মহিমা আরও জানান, ‘সম্ভব হলে আমি মাঝেমধ্যে রাশিয়া যাই, আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আসি। কিছুদিন থেকে আসি, হ্য়াঁ, কখনও পরিবারের কথা মনে পড়ে, তবে সেজন্য তো ফোন আছে।’
মায়া🌃পুর ইসকনের এই সন্ন্যাসীর কথা, সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা শুনে মুগ্ধ নেটপাড়া।