নায়িকার স্ফীতোদরের ছবি ভাইরাল, অথচ তিনি বলছেন ‘আমি প্রেগন্যান্ট নই’! অথচ ফোলা পেটের ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এনেছেন কৃতিকা গ✨ায়কোয়াড়। কৃতিকার ‘বেবি বাম্প’ দেখে যখন সকলে হয়রান, তখন সত্যিটা সামনে এনেছন অভিনেত্রী। গর্ভবতী না🔥 হলেও কঠিন রোগের শিকার নায়িকা, যার জন্য তাঁর পেট প্রেগন্যান্ট মহিলার মতো ফুলে উঠেছে।
মারাঠি চলচ্চিত্রের পরিচিত নাম কৃতিকা। ‘লাখো হ্যায় ইয়াহান দিলওয়ಌালে’ (২০১৫)-এর মতো হাতেগোনা হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন। তাঁর কাছেও বিষয়টি অজানা নয়, যে তাঁকে দেখে সকলে প্রেগন্যান্ট বলে ভুল করবে। কৃতিকা জানান, তিনি জরায়ু ফাইব্রয়েড রোগে আক্রান্ত। নিজের ফোলা পেটের একগুচ্ছ♋ ছবির কোলাজ পোস্ট করে নায়িকা ক্যাপশনে লেখেন, 'না, আমি গর্ভবতী নই, এটি জরায়ু ফাইব্রয়েড যা বছরের পর বছর ধরে বিকশিত হয়েছে!'
তিনি লিখেছেন, এই ফাইব্রয়েড হল পেশীবহুল টিউমার যা জরায়ুর প্রাচীরে বৃদ্ধি পায়। ফাইব্রয়েডগুলি প্রায় সর্বদা সৌম্য (ক্যান্সারযুক্ত নয়)। ফাইব্রয়েডযুক্ত সমস্ত মহিলার লক্ষণ থাকে না। যেসব মহিলার শরীরে লক্ষণ থাকে তাদের এই ফাইব্রয়েডগুলির সাথে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।' ঋতুস্রাবের সময়🌊 অসহ✱্য যন্ত্রণা এবং ভারী রক্তপাতের শিকার হন জরায়ু ফাইব্রয়েডে আক্রান্ত মেয়েরা। জানিয়ে রাখি, বিনাইন টিউমারের পোশাকি নাম ফাইব্রয়েডস। সাধারণত ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের জরায়ুতেই এই ধরনের টিউমারের উপস্থিতি চোখে পড়ে। এর মধ্যে কিছু বৃদ্ধি চোখে দেখতে খুব ছোট। কেউ আবার আঙুরের আকার বা কিংবা বড় আকারে বাড়তে পারে।
কৃতিকা আরও বলেন, ‘একটি ফাইব্রয়েড যা খুব বড় হয়ে যায় তা জরায়ুর ভিতরে এবং বাইরের অংশকে বিকৃত করতে পারে। চরম ক্ষেত্রে, কিছু ফাইব্রয়েড পেটের অঞ্চলটি এমনভাবে ভরিয়ে দেয়, যার ফ🌊লে সেই মহিলাকে গর্ভবতী দেখাতে পারে।’ কখনও কখনও সাত-আট মাসের অন্তঃসত্ত্বার মতো স෴্ফীতোদর দেখা যায় আক্রান্তদের।
এই রোগ নিয়ে মহিলা ভক্তদের সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন কৃতিকা। নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন অভিনেত্রী। নায়িকার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে নেটপাড়া। এক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘এই তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ .. এর জন্য অনেক সাহস দরকার... নিজের যত্ন ন🥀িন এবং 𒀰তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।’ আরেকজন লিখেছেন, 'দয়া করে সাবধানে থাকুন, আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। তৃতীয়জন বলল, ‘শক্ত থাকুন এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।’