৯০-র দশকে বলিউডে 🃏একের পর এক ‘চার্টবাস্টার’ গান উপহার দিয়েছেন কুমার শানু। যার মধ্যে শানুর গাওয়া অন্যতম চর্চিত গান হল ব্লকবাস্টার সিনেমা 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে'র ‘তুঝে দেখা তো’। এই ছবি ও গানটি এখনও মানুষের মন ছুঁয়ে রয়েছে। এমনকি সম্প্রতি বিবিসি প্রতিবেদনে উঠে আসা UK-র ফেবারিট গানের তালিকায় ভোট পেয়েছে ৯০ এর দশকের🎃 এই বলিউডি ছবির গান।
যদিও এই (তুঝে দেখা তো) গানের যিনি সুরকার যেই যতীন-ললিত জুটির ললিত পণ্ডিত সম্প্রতি কুমার শানুকে নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দি🧔য়েছেন। সম্প্রতি বলিউড হাঙ্গামা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ললিত পণ্ডিত বলেন, ‘তুঝে দেখা তো’ গানের গীতিকার যে আনন্দ বক্সী তাঁকে কুমার শানু কখনওই কৃতিত্ব দেননি। এমনকি আমাদেরও গানের সুরকার হিসাবে উনি কৃতিত্ব দেন💝নি। গানটি হিট হওয়ার পর শানু কেবলই ' ইয়ে মেরা গানা হ্যায়, মেরা গানা হ্যায়' বলে প্রচার করেছেন। যেটা ঠিক নয়।
ললিত পাণ্ডতের কথায়, একটা গান হিট হওয়ার পিছনে সুরকার, গীতিকারদের সমান কৃতিত্ব রয়েছে। কারণ তাঁরাই ঠিক করে দেন, যে তাঁদের গান কোন গায়ক গাইবেন। এটা শানুর কেরিয়ারে সেরা গান হলেও তিনি বাকিদের কৃতিত্ব না দিয়ে ঠিক কর🐠েননি।
এদিক সুরকার ললিত পণ্ডিতের এই ক্ꦗষোভ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে মুখ খুলেছেন কুমার শানু। তিনি বলেন, '(অবশ্যই, আগর মিউজিক অ্যায়সা নেহি হোতা তো ইয়ে গানা হিট নেহি হোতা।) অবশ্যই, কৃতিত্ব আছে। যদি এমন মিউজিক না হত তাহলে কখনওই গান হিট হত না। গানের কথার ক্ষেত্রেও তাই। আমি তো এধরনের কিছু ভাবিই নি। যতীন-ললিত এমনই সঙ্গীত পরিচালক জুটি... যাঁদের প্রতিটি গানেই কিছু না কিছু বিশেষ গুণ থাকে। পঞ্চম দা'র পরে যাঁরা ভালো সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে উত্তরাধিকার এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটা হলেন তাঁরা। যতীন-ললিতের মিউজিকে পঞ্চমদার স্পর্শ থাকে। যদিও তাঁর (পঞ্চমদা আরডি বর্মন)🌳 সঙ্গে তুলনা করা যায় এমন কেউ নেই। তুঝে দেখা তো গানের কথা, সুর সুন্দর না হলে গান কখনওই হিট হত না। পুরোটাই টিম ওয়ার্ক। তাই তাই সবার আগে এর কৃতিত্ব যতীন ললিত ও আনন্দ বক্সী সাহেবের।
তাহলে কি ভুল বোঝাবুঝি ? এপ্রশ্নে শানুর জবাব, ‘এমন কিছুই নেই (কুছ নেহি হ্যায়)। দেখা হলে ক💎থা বলব। যতীন-ললিতজি ইন্ডাস্ট্রিকে এত আশ্চর্যজনক গান উপহার দিয়েছেন। তাঁদের এভাবে ভাবা উচিত নয়, আমি ওঁদের সম্মান করি এবং সবসময় করব। ওঁরা আমাকে যা কিছু বলতে পারেন, (বো হুমে কুছ ভি কহে) আমি তবু ওঁদের সম্মানই করব। আমার জীবন ও ক্যারিয়ারে ওঁদের অনেক অবদান। আমি তাঁদের সবসময় সম্মান দিতে চাই।’