তিনি যখন মায়ের তখনই বিচ্ছেদ হয় বাবা-মা'𒁃র। বাবার প্রতি পাহাড়সম অভিমান নিয়েই ♌বড় হয়েছেন জয়েশ ভট্টাচার্য। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি অবশ্য তাঁকে চেনে জান কুমার শানু নামেই। নেপোটিজম অর্থাৎ স্বজনপোষণ বিতর্ক পিছু ছাড়েনি জানের, কারণ তিনি কুমার শানুর পুত্র। যদিও আক্ষরিক অর্থে তাঁর মিউজিক্যাল কেরিয়ারে বাবার বিশেষ ভূমিকা নেই।
পেশাদার জগতে বাবার থেকে কানাকড়ি সাহায্য না পেল༺েও ব্যক্তিগত পরিচয়ের জেরেই ধাক্কা খেয়েছেন বিগ বস থেকে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসা জান। সম্প্রতি সোশ্য়াল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে জানের স্টেজ পারফরম্যান্সের একটি ভিডিয়ো। সেখানে কোচবিহারের পাটাকুড়া ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পাওয়া গিয়েছে জানকে।
এক মিনিট ৪০ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োতে কিংবদন্তি বাপ্পি লাহিড়ির ‘কভি অলবিদা না কহনা’ গানটি পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে জানকে। কিন্তু সেই পারফরম্য়ান্স নিয়েই কটূক্তির শেষ নেই। মূলত বাবার সঙ্গে ছেলের তুলনা টেনে জানকে কটাক্ষ করেছে শানু-ভক্তরা। অনেকে তো তাঁকে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর্যন্ত দাবি জানান। একজন লেখেন, ‘গুরুদেব গুরদেবই হয় , এদের কাছে কেউ ভিড়তে পারবে না। সেটা ছেলে বা মেয়ে’। আরেকজন লেখেন, ‘কুমার শানু গান🌱টি শুনলে নিজেই লজ্জা পাবেন। বাবা যেখানে বড় শিল্পী তাই মঞ্চে ওঠার আগে ভালো করে প্র্যাকটিস করে ওঠা উচিত ছিল।’
সমালোচকের সঙ্ওগে বেশি হলেও অনেকেই জানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাবার সঙ্গে তুলনা না টানাই শ্রেয় মত তাঁদের। জানের সমর্থনে একজন লেখেন, ‘গানটা অতটা ভালো হয়নি কিন্তু বাবাকে জ𒁏ড়িয়ে তাকে জাজ না করে তার জীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে বিচার করলে ভালো হয়।’ আরেকজন বলেন, ‘আপনি নিজের মতো করে চেষ্টা করেছেন, এটাই ভালো’।
কুমার শানু ও তাঁর প্রথম স্ত্রী রী🀅তা ভট্টাচার্যের ছোট ছেলে জান। দিদিমা নীরা দত্তর কাছে জানের সঙ্গীতের হাতেখড়ি। ছোট থেকেই সঙ্গীত ঘিরেই জানের জীবন। মাত্র ছ’ বছর বয়সে ‘এসকেপ ফ্রম তালিবান’ ছবির জন্য গেয়েছিলেন জান। অ্যানিমেশন ভয়েস আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করেছেন, আমিরের তারে জমিন পর-এর ‘বম বম বোলে’ গানের শিশু গায়কদের অন্যতম ছিলেন জান। কিন্তু বাবার সঙ্গে তুলনায় বরবার বিধ্বস্ত হয়েছেন জান। সেই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘কুমার শানুর ছেলে হওয়ার কারণেই অন্যদের থেকে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হয় আমাকে। লোকে ভাবে, রূপোর চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে, তাই ওর কাছে সবটাই সহজ। যে প্রিভিলেজ তাকে সাহায্য করব কেন, বরং অন্য কাউকে কাজ দেব। আসলে কিন𝐆্তু আমার বিষয়টা অনেক কঠিন। লোকে ভেবে নেয় আমার কাছে অনেক কাজ আছে। এই ভুল ধারণা ভাঙার জন্য, নিজেকে প্রমাণ করার জন্য লড়াই করছি।’