ফুলঝুরির সামনেই তিন নম্বর বিয়েটা সেরে ফেলল লালন! তিতির আর লালনের বিয়েটা শেষমেষ হয়েই গেল! তবে না, সিঁদুরদান করে নয়, লিপস্টিক দিয়ে সিঁথি রাঙিয়ে বꦅিয়ে হল লালন আর তিতিরের। গল্পের গোরু গাছে ওঠে-এটা অজানা নয়, কিন্তু তা বলে লিপস্টিক দিয়ে সিঁদুরদান! এমনটা হজম করতে পারছে না দর্শক। পাশাপাশি ‘ভাই-বোন'-এর বিয়ে দেখানোয় রোষের মুখে লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
আবাস্তব দৃশ্য বাংলা সিরিয়ালের পর্দায় নতুন নয়। কাঁচি দিয়ে বোমা ডিফিউজ করা থেকে বাথরুম স্ক্রাবার দিয়ে হৃদরোগে আক্রান্তের চিকিৎসা সবই দেখেছে দর্শক। কখনও উড়ন্ত সিঁদুর আবার কখনও উড়ন্ত মালায় বিয়েও বারবার দেখেছে, এবার লিপস্টিক দিয়ে ভাই-বোনের বিয়ে দে๊খে নিল স্টার জলসার দর্শক।
স্মৃতি হারিয়েছে লালন। ফুলঝুরিকে ভুলে এবার তিতিরের সঙ্গে সাত পাক ঘুরে নিল লালন। আপতত নিজেকে গোগল বলেই মানে সে। লালনকে নিজের ছেলে হিসাবে মেনে নিয়েছিল তিতিরের মা। সেই অর্থে তিতিরের দাদা গোগল, আর সেই দাদার গলাতেই মালা দিল তিতি🐼র! সম্পর্কের এই সমীকরণ দেখে তো মাথায় হাত দর্শকদের! এমন দৃশ্য দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধুলোকণা বন্ধের ডাক দিল নেটিজেনদের একাংশ।
একজন লেখেন, ‘এটা আবার কী সিরিয়াল! গোগোল যদি ওর ছেলে হয় আর তিতির ওর মেয়ে, তাহলে ভাই বোনের বিয়ে? যা তা 🐈সিরিয়াল।’ অপর একজন লেখেন,‘লালনের তিতিরের সঙ্গে বিয়ে হওয়া একদম উচিত নয়। এ সব𝕴 কী দেখাচ্ছে! একদিকে ওর (তিতির) মা নিজের ছেলেকে দেখছিল এবার সেই ছেলেই জামাই হবে!’ কেউ কেউ লালনের বহুবিবাহ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। চড়ুই, ফুলঝুরির পর এবার তিতির- আর ক'জনকে বিয়ে করবে লালন? প্রশ্ন অনেকের। চড়ুইকে লালন-তিতিরের বিয়ে আটকানোর চেষ্টা করতে দেখে একজন লেখেন, ‘লালনের প্রথম বউ, ওর দ্বিতীয় বউয়ের জন্য তৃতীয় বিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছে- ভাবা যায়?’
লালন-তিতিরের বিয়ের আসরে হাজির ছিল ফুলঝুরিও। নিজের চোখের সামনেই লালনকে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করতে দেখে ভেঙে পড়েছে সে। বিয়ে꧟র দিন কোনওভাবেই ফিরলো না লালনের স্মৃতি, সব দেখে ফুলঝুরির ঘোষণা- ‘আমি আর কোনওদিন তোমার সামনে আসব না’। পাশাপাশি তিতিরে বাবার (অম্বরীশ ভট্টাচার্য) কাছে তাঁর আবেদন লালন যেন ফের গান শুরু করে।
দিন কয়েক আগে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা 💮অপর সিরিয়াল ‘গুড্ডি’ পড়েছিল রোষের মুখে। স্ত্রীকে ছেড়ে প্রাক্ত๊ন স্ত্রীর সঙ্গে অনুজের রোম্যান্স দেখেছিল চটেছিল নেটপাড়া, ফের একবার প্রশ্নের মুখে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।