চার বছরের মেয়ের মুখে 'ডিভোর্স' শব্দ শুনে ভিরমি খাওয়ার জোগার হয়েছিল লারা দত্তর। সম্প্র🌳তি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেদিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন তিনি। সঙ্গে জানানা, তাঁর স্বামী টেনিস লেজেন্ড মহেশ ভূপতি তাঁদের মেয়েকে ওই অত ছোট বয়সে শিখিয়েছিল ডিভোর্সের মানে! আর এটা জানতে পেরে প্রথমে একটু রাগও হয়েছিল অভিনেত্রীর।
সম্প্রতি নিজের ডিজিট্যাল সিরিজ ‘হিকআপ অর হুকআপ’ শুরু করেছেন লারা। আর সেই সময়তেই সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে সায়রা মাত্র চার বছর বয়স থেকে ‘ফ্রেন্ডস’♌ দেখে। আসলে মহেশের সবথেকে প্রিয় শো ‘ফ্রেন্ডস’। আর তাই মাত্র চার বছর বয়সেই সায়রাও বাবার সাথে বসে ফ্রেন্ডস দেখা শুরু করে দিয়েছে।
‘‘ও ফ্রেন্ডস দেখতে ভালোবাসে সব সময়। আর সেই অভ্যাস ও আমার মেয়েকে মাত্র ♑৪ বছর বয়সেই করে দিয়েছে। একদিন আমার মেয়ে খেলছে, আর বলছে, ‘ওহ! আমি চলে যাচ্ছি। এটা আমার বাড়ি। ওটা তোমার বাড়ি আর আমরা আজ থেকে ডিভোর্সড।’ শুনে তো আমার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মতো অবস্থা। আমি ওকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুমি জান ডিভোর্স মানে কি?’ আর আমার মেয়ে অনায়াসে বলে, ‘যখন দুটো মানুষ খারাপ ♉বিয়েতে থাকে, একসাথে থাকতে পারে না, তখন তারা আলাদা থাকে। সেটা ডিভোর্স।’শুনে তো আমার হাল খারাপ’’, লারা জানান নিজের সাক্ষাৎকারে।
লারার কথায়, ‘‘🌳আমি এরপর মেয়ের কাছে জানতে চাই ‘তোমাকে এগুলো কে শিখিয়েছে?’ আর ও উত্তর দেয়, ‘কেন বাবা’! শুনে আমার আরও রাগ হয়ে যায়। সাথে সাথে মহেশকে ফোন করি। আর বলি, তুমি কীভাবে এসব শেখালে ওকে এই বয়সে। যাতে হেসে মহেশ আমায় বলে, ‘আমরা একসাথে বসে ফ্রেন্ডস দেখছিলাম। আর ও তখন আমার কাছে জানতে চায় কেন রস তিন বার বিয়ে করেছে।’ তাহলে ভাবুন আমরা কেমন বাবা-মা!’’
২০১২ সালে জন্ম হয় লারা দত্ত আর মহেশ ভূপতির মেয়ে সায়রার। মেয়ে হওয়ার পর থেকে খুব কম কাজ করতে দেখা যায় তাঁকে। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে লারা জানিয়েছিলেন তিনি আর মহেশ সবসময় চাইতেন তাঁদের মধ্যে অন্তত একজন যাতে সবসময় মেয়ের সাথে উ⛦পস্থিত থাক।