অভিনেতা সুশান্ত সিং🍬য়ের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই । এই ঘোলাজলের আবহেই সুশান্তের স্বঘোষিত কাছের বন্ধু, প্রযোজক সন্দীপ সিংয়ের সাথে ড্রাগ চক্রের কোনো যোগ আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য এ যাবৎ জমা পড়া যাবতীয় অনুরোধ এবং মতামতকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেবেন বলে জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ । সুশান্ত মৃত্য রহস্যে অন্যতম সন্দেহভাজন হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে সন্দীপ সিংয়ের নাম । প্রয়াত অভিনেতার পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন তাঁদের সাথে সন্দীপের কোনও সম্পর্ক নেই । সন্দীপের কল ডিলেটস রেকর্ড থেকেও জানা গিয়েছে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে সুশান্তের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত একবারও ফোনে কথা হয়নি সুশান্ত-সন্দীপের।
এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশমুখ জানান , ' আমার কাছে একাধিক অনুরোধ এবং অভিযোগ জমা পড়েছে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকের প্রযোজনায় যুক্ত থাকা সন্দীপ সিং এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যেকার যাবতীয় সম্পর্ক এবং তাঁর সাথে মাদক চক্রের কোনো যোগাযোগ আছে কি না তা খতিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য জমা পড়া যাবতীয় আবেদন সিবিআই এর দপ্তরꦏে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হবে ' ।
এদিকে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও পার্টির মুখপাত্র সচিন সাওয়ান্ত এই মামলায় পরিষ্কার বিজেপির যোগসাজশ থাকার অভিযোগ জানিয়েছেন । এদিন নিজের বক্তব্যের ভিডিও আপলোড করে তিনি টুইট করেন , ' অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যুতে, মোদীজির বায়োপিকের প্রযোজক সন্দীপ সিং- এর সঙ্গে ড্রাগ চক্রের কোনও যোগাযোগ আছ🍷ে কিনা তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা উচিৎ সিবিআইয়ের ' ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , সন্দীপ প্রযোজিত এবং ওমাঙ্গ কুমার পরিচালিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ๊বিবেক ওবেরয় | ছবিটি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে মুক্তির কথা থাকলেও সেই সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের দায়ে ছবিটির মুক্তি আটকে দিয়েছিলো । পরে ২৪ শে মে , ২০১৯ মুক্তি পায় প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিক , ‘পি এম নরেন্দ্র মোদী’।
সুশান্তের ভাগ্নি মল্লিকা সিং আগেও দাবি করেছিলেন তাঁরা সন্দীপকে কোনোদিনও চিনতেন না। কিন্তু অভিনেতা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে সবার আগে তাঁর ফ্ল্যাটে পৌঁছেছিলেন সন্দীপ ছিলেন তাঁদের একজন । ওই দিন সুশান্তের দিদি মীতু সিংয়ের কাছাকাছিও হামেশাই দেখা গিয়েছে সন্দীপকে। কংগ্রেসের এক নেতার ঘনিষ্ঠ এই প্রযোজক সেদিন সুশান্তের দেহ ময়নাতদন্তের💎 জন্য নিয়ে যাওয়া থেকে কুপার হাসপাতালে সমস্ত তদারকি করেছেন। এমনকি পরের দিন সুশান্তের শেষযাত্রারও একদম ফ্রন্ট সিটে ছিলেন সন্দীপ।
মল্লিকার কথায়, ‘মীতু মাসি ভাইকে ওই অবস্থায় দেখে অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যান এবং সে জন্যই সন্দীপ এসে তাঁকে ধরেছিলেন ।তাঁকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু এইটু⛄কু ছাড়া আমাদের পরিবারের সাথে সন্দীপ সিংয়ের আর কোনো সম্পর্ক কোন💝ও সম্পর্ক ছিল না’।
গত সপ্তাহেই এই হাই প্রোফাইল কেসের তদন্ত চলাকালীন ইডি মাদক চক্রের সংযোগ চিহ্নিত করায় এবার আসরে নেমেছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো । সুশান্তের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে অভিনেতার অজান্তেই বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী তাঁকে নিয়মিত ড্রাগ দিতেন যা অভিনেতাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় । যদিও তাঁর বিরꦺুদ্ধে 🍷ওঠা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন রিয়া ।