পাকিস্তানের অভিনেত্রী মাহিরা খান সম্প্রতি কুয়েতের এক সাহিত্যসভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে অতন্ত্য অশোভনীয় একটি ঘট⛎নার সম্মুখীন হতে হয়। রাগে ফেটে পড়েন অভিনেত্রী। তখন কুয়েতের সাহিত্যসভার মঞ্চে ছিলেন মাহিরা। সেখানেই দর্শকাসনে বসে থাকা কিছু লোক তাঁকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন জিনিস ছুঁড়তে থাকেন। ঘটন﷽ায় তিনি অতন্ত্য বিরক্ত হয়ে মঞ্চ থেকেই প্রতিবাদ জানান।
ঘটনার ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে নায়িকাকে লক্ষ করে কেউ মঞꦍ্চে কিছু একটা ছুঁড়ে মারছে। তৎক্ষণাৎ সেদিকে তাকিয়ে মাহিরা বলে ওঠে, "এটা ভুল"। ঘটনার পর🅠 অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তাঁর ছবির একটি সংলাপ বলার জন্য অনুরোধ করলে, অভিনেত্রী বলেন "আমি কোনও সংলাপ বলব না।"
এরপরই ঘটনাটির প্রতিবাদ করে মাহিরা তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে পুরো বিষয়টি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়োয়ও শেয়ার করেন তিনি। একরাশ হতাশা নিয়ে নায়িকা লেখেন, 'অনুষ্ঠানে যা ঘটেছিল তা অতন্ত্য অশোভনীয়। মঞ্চে অনুষ্ঠানে চলাকালীন কোন কিছুই ছ🥀োঁড়া ঠিক নয়। তা যদি কাগজে মোড়ানো ফুলও হয় তাহলেও তা মঞ্চে ছোঁড়া যায় না। পুরো ঘটনাটা খুব ভুল একটা নজির স্থাপন করেছে, এটা কখনও মেনে ন𓆉েওয়া যায় না।' মাহিরা জানান তিনি ভয় পেয়েছিলেন। অভিনেত্রী লেখেন, 'এই ঘটনায় আমি সত্যি খুব ভয় পেয়ে যাই, না শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যদের কথা ভেবে, যদি আমার মতো এই পরিস্থিতিতে অন্য কাউকে পড়তে হয়।'
আরও পড়ুন: বনไিতা হয়ে গেলেন 'মিস 🍨মালহোত্রা'! খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হইচই, ব্যাপারটা কী?
তবে সব কিছুকে ছাপিয়েও মাহিরা ভালোবাসায় বিশ্বাসী। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার পরও তিনি জানান ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল প্রায় ১০,০০০ বা তারও বেশি মানুষ।🧸 নায়িকা তাঁদের কাছে যে ভালোবাসা পেয়েছেন তাতে তিনি তৃপ্ত। এই প্রসঙ্গে মাহিরা লেখেন, 'আমরা ওখান থেকে যখন ফিরছিলাম তখন কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন য൲ে, "এর পর ওখানে আমরা আর কোনও অনুষ্ঠান করব না।" কিন্তু আমি তাঁর সঙ্গে সহমত হতে পারিনি। এটা সমাধান নয়। এখানে ১০,০০০ বা তারও বেশি মানুষ ছিলেন। ১০,০০০ জনের ভিড়ে মিশে থাকা দু'এক জনের জন্য তাঁদের সঙ্গে আমি অবিচার করতে পারব না।' তিনি আরও লেখেন, 'চাইলেই হয়তো আমি উঠে চলে আসতে পারতাম, হয়তো আমার সেখানে থাকা উচিত হয়নি। এমন বহু উচিত-অনুচিত হয়তো ছিল।'
আরও পড়ুন: শরমিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছඣেন সলমন! অভিনেত্রীর উত্তর শুনে অবাক নেটপাড়া
এই পুরো ঘটনা থেকে মাহিরা অনুভব করেছেন এইরকম আরও অনুষ্ঠান তিনি করবেন। কারণ হিসেবে তিনি লেখেন, 'আমাদের পাকিস্তানের আরও অনেক শহরে এই ধরনের অনুষ্ঠনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আপনি যত বেশি সব কিছু নিয়ে আলোচনা করবেন ততই আপনি সচেতন এবং শিক্ষিত হবেন। এইসব বিষয়গুলো আরও স্বাভাবিক হবে। আর এর ফলে আমাদের শহর, আমাদের সংস্কৃতি সর্বোপরি আমাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও বোঝাপড়া আরও বাড়বে। কারণ এখনও এর যথেষ্ঠ অভাব রয়েছে। এর ফলে আমাদের মধ্যে ঐক্যবোধ গড়ে উ🧜ঠবে।" পাশাপাশি তিনি কুয়েতের সকলকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি।