হিন্দু ধর্মে সধবার প্রতীক হিসেবে মানা হয় শাঁখা-পলা-সিঁদুর। আগেকার দিনে এঁয়ো স্ত্রীদের কখনোই দেখা যেত না এগুলো ছাড়া। তবে বর্তমানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে অনেকখানিই। তারকা থেকে শুরু করে ব🍌হু সাধারণ মানুষ, বেরিয়ে এসেছেন সনাতনী বিশ্বাস ছেড়ে। তাঁদের হাতে শাঁখা-পলা বা নোয়া, আর দেখা যায় না বললেই চলে। তবে এই নিয়েই সাওয়াল করলেন সম্প্রতি মমতা শঙ্কর।
বেশিরভাগ সময়ই মমতা শঙ্করকে দেখা যায় দুই হাতে শাঁখা-পলা-নোয়া। সিঁথিতে সিঁদুর। আর তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নিবেদিতা অনলাইনকে বলেন, ‘কেন পরব না কেন? বিদেশে যদি ওয়েডিং রিং পরতে পারে,ꦏ তাহলে শাঁখা-পলা পরꦗতে অসুবিধে কোথায়?’
আরও পড়ুন: 🔯‘পিঠটা আছে তো…’! আঁচল বিতর্কে ফের চাঁচাছোলা মমতা, ‘আমি যদি কিছু না পরে…’
‘আমি বিয়ের পর থেকেই পরি। আমার দেখতে ভালো লাগে। নিজের ম๊নে শান্তি লাগে যে, সবাই ভালো আছেন। আমি যদি টিপ পরতে পারি, তাহলে কেন শাঁখা, পলা বা লোহা পরব না। আমি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শাখা পলা খুললেও, লোহা আমার সবসময় গায়ে থাকে। এগুলো আমি খুব মানি।’, আরও বলেন মমতা শঙ্কর।
আরও পড়ুন: হায় 💎কপাল! ঐশ্বর্যর কানের জামা পরেই মেট গালায় চলে গেলেন নাকি মিন্ডি 🌸কালিং
নিজের এক দিদিমারও গল্প বলেন তিনি। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তাঁকে ডাকতেন খুড়ি দিদিমা বলে, তাঁর মায়ের কাকিমা ছিলেন তিনি। মাত্র ১০ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল। আর তারপর তিনি ১১ বছর বয়সে স্বামীকে হারিয়ে বিধবা হন। মমতা শঙ্কর বඣলেন, ‘মনে আছে একদিন শ্যুটিং শেষ করেই ওঁর বাড়িতে গেছি। আমার হাতের দিকে তাকিয়ে বললেন, তুই শাঁখা-পলা পরিসনি কেন? আমি ওঁকে বলি, এই আমার ব্যাগে আমার সঙ্গেই আছে। এখনই পরে নেব। সেই সꩲময় উনি আমাকে একটা কথা বলেছিলেন, যা আমি কখনো ভুলতে পারি না।’
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে জল প্রকল্প’! ঋতুপর্ণা চরম স🧜ঙ্কটে, বাঁচতে হাঁটু পর্যন্ত উঠিয়ে দিলেন পোশাক
মমতা শঙ্কর এরপর বললেন, ‘আমাকে উনি বলেছিলেন বড়লোকরা ෴চাইলে সোনা, রুপো বা হীরের চুড়ি পরতে পারে। আবার গরীবরা চাইলে কাঠ বা কাঁচের। তবে এটা ভাগ্যে না থাকলে কেউ পরতে পারে না। আমি এই কথা একবার টিভির কোনও এক অনুষ্ঠানেও বলেছিলাম। আমাকে পরে অনেকে জানিয়েছেন, এই কথা গুলো তাঁদের মনেও দাগ কেটে গিয়েছে। তাঁরাও আর তারপর থেকে খুলতে পারেন না!’
♐কদিন আগেই শাড়ি বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল মমতা শঙ্করের। বর্তমানের মেয়েদের শাড়ি পরার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। নামিয়ে আঁচল নেওয়া প্রসঙ্গে ব্যবহার করেছিলেন ‘ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়ানো মেয়ে’র মতো শব্দবন্ধ। তাতে বেজায় চটেছিল নেটিজেনরা। এমনকী, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মতো তারকারাও এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন। তবে শত বিতর্কতেও মমতা শঙ্কর স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর কথার ভুল মানে করা হয়েছে। তিনি কাওকে ছোট করেননি।