সম্প্রতি বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে সেরেছেন বলি𒅌উড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। পাত্র ফাহাদ আহমেদ। ফাহাদ সমাজবাদী পার্টির নেতা। সক্রিয় ভাবে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এবং সমাজ ও অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত মন্তব্য করেন তিনি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূত্রেই দু’জনের আলাপ। যেদেতু স্বরা এবং ফাহাদ জন্মসূত্রে আলাদা ধর্মের, তাই তাঁদের বিয়ে নিয়ে এবার নানা মহলে নানা বিরূপ মন্তব্য হয়েছে।
(আরও পড়ুন: বর ফাহাদকে কদিন আগেই ‘ভাই’ ডাকতেন স্বরা! ভাইরাল দম্পতির পুরনো টুইট)
এই তালিকায় একেবারে গোড়াতেই রয়েছেন ইসলাম ধর্মের গবেষক এবং শিক্ষক ইয়াসির নাজিল আল ওয়াজিদি। তাঁর সঙ্গে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে রেডিয়ো জকি সায়েমার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইয়াসির মন্তব্য করেছেন, স্বারা এবং ফাহাদের বিয়ে আইনসিদ্ধ হলেও এটিকে ইসলাম সমর্থন করে না। কারণ কোরানে স্পষ্ট বলা আছে, কোনও নারী যদি মূর্তিপূজা করেন, তাহলে কোনও মুসলমান পুরুষ তাঁকে বিয়ে করতে পারবেন না। সেই বিয়েকে ইসলাম সমর্থꦉন করে না।
(আরও পড়ুন: ‘আদায় কাঁচকলায়’ সম্পর্ক দূরে রেখেই স্বরাকে শুভেচ্ছা কঙ্গনার, উত্তরও পেলেন মিঠে)
তাঁর এই ܫমন্তব্যের পরেই নানা মহল থেকে বিরূপ বার্তা এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল আরজে সায়েমার কথা। সায়েমা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে⭕ছেন, ‘কোরান সম্পর্কে আপনি যা বলেছেন, তা ঠিক। কিন্তু অযাচিত ভাবে আপনি পরামর্শ দিতে এসেছেন। স্বরা এবং ফাহাদ কি আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছেন? অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করুন। আল্লাহ আপনাকে কিছু বলবেন না। ‘নিয়ত’ ইসলামের স্তম্ভ। আর সেখানেই আপনার কাজটি কাঙ্ক্ষিত নয়। এটিও ইসলাম বিরোধী। আমার ধারণা, আপনি বুঝতে পারবেন।’
(আরও পড়ুন: রেজিস্ট্রি-আংটি বদলে মায়ের বিয়ের শাড়ি! স্বরার সারল্য মন ছুঁয়ে নিল নেটিজেনদের)
সায়েমার এই কথায়✱ মোটেই থেমে যাননি ইয়াসির। তিনি এরও উত্তর দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আপনি যখন বলছেন, আমি কোরান সম্পর্কে যা বলেছি, তা ঠিক, তাহলে আপনারও বোঝা উচিত, এꩵক্ষেত্রে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা পাপ। পাপের ঘটনাকে স্বাভাবিক ঘটনা বলার বিরোধিতা করছি আমি।’
এর পরেও দুই পক্ষের লড়াই থামেনি। বরং লড়াই খুব বেশি করে ব্যক্তিগত স্তরে চলে এসেছে। সায়েমা বলেছেন, ‘আপনি কি আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে কেউ নিয়োগ করেছেন? সকলেই আল্লাহর কাছে জবাব দেবেন। ফলে তাঁধের বিꦺষয়টি তাঁদেরকেই ভাবতে দিন। ভালো মুসলমান হয়ে থাকুন।’ তাতে ইয়াসিরও বলেছেন, তিনি ইসলামের পাঠ কোনও আরজে-র থেকে নিতে রাজি নন। বরং আরজে-রা যখন ইসলামের ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করেন, তখ যাঁরা রুখে দাঁড়ান, তিনি সেই দলে।
মোট কথা দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাট আকার ♋নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য দুই পক্ষকেই বহু মানু♍ষ সমর্থন জানিয়েছেন। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই দ্বন্দ্ব সহজে মেটার নয়।