বিগ বস ১৬-র ঘরের সবচেয়ে আলোচিত প্রতিযোগী সাজিদ খান। যৌন হেনস্থার অভিযোগেবিদ্ধ ফারহা খানের ভাইকে বিগ বসের ঘরে জায়গা দেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন নির্মাতারা, এমনকী সলমন খানও। প্রায় ৯ জন বলি-নায়িকা যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন ‘হে বেবি’ পরিচালকের বিরুদ্ধে। সেই সাজিদ খানই একটা সময় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছিলেন অভিনেত্রী গওহর খানের সঙ্গে। যদিও শেষ মুহূর্তে বিয়ে ভেঙে দেন গওহর। কেন ভেঙেছিল🍬 সেই সম্পর্ক? সে কথা পুরোনো এক সাক্ষাৎক꧟ারে নিজের মুখেই বলেছিলেন সাজিদ।
সোশ্য꧂াল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল সেই পুরোনো ভিডিয়ো, যা দেখবার পর সাজিদকে আরও বেশি করে তুলোধনা করছেন নেটিজেনরা। পুরোনো এই ভিডিয়োয় কিরণ জুনেজার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ধরা দিয়েছেন সাজিদ। কেন গওহরের সঙ্গে এনগেজমেন্ট ভেঙেছিল? সরাসরি এই প্রশ্ন করে বসেন সঞ্চালিকা। কোনওরকম ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নয়, সোজাসুজি সাজিদ জবাব দেন, ‘ওই সময় আমার ক্যারেক্টর ঢিলা ছিল। আমি সেইসময় অনেক মেয়েদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম, আর প্রচুর মিথ্যা বলতাম। আমি কোনও খারাপ আচর💙ণ করিনি,কিন্তু সব মেয়েদের ‘আই লাভ ইউ’ আর ‘উইল ইউ ম্যারি মি?’ বলে বেড়াতাম'।
এরপর নিজেই নিজেকে নিয়ে মজা করে বলেন, এতদিনে কমপক্ষে ৩৫০বার বিয়ে হয়ে যেত তাঁর, যদি সব ঠিকঠাক যেত! সাজিদ বলেন, ‘আমি যে-সকল মেয়েদের সঙ্গে ছিলাম, আজ তাঁরা আমাকে নিশ্চিতভাবে মিস করেন, আর গালিও দেন’। পাশাপাশি দার্শনিকভাবে সাজিদ জানান, তাঁর মতে ‘꧒আই লাভ ইউ’ এই লাইনটা আদতে স্বার্থপর একটা স্বীকারোক্তি। পাশাপাশি প্রেম সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বন্ধুত্বই আসল, এমনটাও মত তাঁর। ভারতে সম্মন্ধ করে বিয়ে বেশিদিন টেকে, কারণ এই ধরণের বিয়েতে দু-🐻জন মানুষ বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে বেশি সময় নেয়। অন্যদিকে প্রেম-বিবাহ মানেই যেখানে সম্পর্কের চড়াই-উতরাই থাকবে। সাজিদ মনে করেন আজকাল বিয়ে ভাঙার করণ হল মেয়েরা এখন অনেক বেশি আত্মনির্ভর।
সাজিদের এই ভাবনাচিন্তার সঙ্গে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছেন। একজন লেখেন, ‘এই লোকটার ভাবনা-চিন্তাটাই🌃 নোংরা’। বহু নেটিজেন সাজিদের মানসকিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ২০০৩ সালে আংটি বদল সেরেছিলেন সাজিদ-গওহর। তবে মাস কয়েকের মধ্যেই সম্পর্কে ইতি টা𝐆নেন দুজনে। আপতত জায়েদ দরবারের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন গওহর খান।
২০১৮ সালে প্রথম বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন সাজিদ খান। সেইসময় একের পর এক অভিনেত্রী সাজিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। প্রত্যেকেই পরিচালকের সঙ্গে কোনও প্রোজেক্টে কা💟জ করেছিলেন, অথবা কাজের কথাবার্তা চলেছিল। মিটু-র অভিযোগেবিদ্ধ সাজিদকে এরপর ‘হাউসফুল ৪’-এর পরিচালকের আসন থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে আর কোনও কাজ করেননি সাজিদ। দীর্ঘসময় পর বিগ বসের মাধ্যমে আবারও লাইমলাইটে অভিযুক্ত পরিচালক।