মেয়েবেলা সিরিয়াল যে লিপ নিতে চলেছে তা আমরা আপনাদের আগেই জানিয়েছিলাম। একেবারে শেষ দিনে এসে ২৭ বছরের লিপ নেবꦬে গল্প। অর্থাৎ দেখানꦺো হবে মৌ আর ডোডোর পরবর্তী প্রজন্মকে। শাশুড়ি হিসেবে মৌ ঠিক কেমন হবে তা দেখার যাদের ইচ্ছে ছিল, তাদের মনস্কামনা একটু হলেও পূরণ হবে।
🐭একদম শেষ এপিসোডে এসে দেখা যাবে টিভি স্ক্রিনে ফুটে উঠছে ‘২৭ বছর পর’। আর তারপর ক্যামেরায় ধরা পড়ছে একটা বিয়ের গেট। যেই বিয়ের গেটে নাম লেখা রয়েছে নির্মোহ ওয়েডস আয়েশা। মৌ-ডোডোর ছেলে ডিডোর ভালো নামই নির্মোহ। তাঁর বিয়ে দেখিয়েই শেষ হবে সিরিয়াল। প্রসঙ্গত, বাংলা সিরিয়ালের প্রচল🔴িত ট্রেন্ড বজায় রেখে ডিডোর চরিত্রে দেখা যাবে ডোডো অর্থাৎ অর্পণ ঘোষালকেই।
বিয়ের মণ্ডপের সামনে বয়স্ক লুকে দাঁড়িয়ে মৌ আর ডোডো। তাঁদের মুখ দিয়েই উঠে আসবে মিত্র বাড়ির ২৭ বছরের না বলা গল্প। মউ বলবে, পূর্ণিমা মিত্র (আম্মা)-র নাম গানের স্কুল খুলবে বীথি। পিহু-র সঙ্গে টিটোরর বিয়ে হয়েছে, কিন্তু ২৭ বছরে দুজন🌃ের তিনবার ডিভোর্স হয়েছে।
শনিবার ছিল মেয়েবেলার র্যাপ আপ পার্টি। হাজির ছিলেন সব কলাকুশলীরা। একাধিক ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশ্যালে। যেখানে পাগলের মতো নাচতে যেমন দেখা গিয়েছে সবাইকে। তেমনই বিদায় বেলায় দেখা গিয়েছে একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে চোখের জল ফেলতেও। এত জলদি যে ধারাবাহিক শেষ হবౠে তা ভাবতে পারেননি কেউই। ১৩ জুন ছিল মেয়েবেলার শেষ দিনের শ্যুট। অন্তিম এপিসোডের সম্প্রচার হবে ২৩ জুন।
আসলে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়ার পরই বেজে গিয়েছিল বিদায় ঘণ্টা। রূপার কামব্যাক প্রোজেক্ট হিসেবেই এক বড় প্রোজেক্ট এনেছিল সুরিন্দর ফিল্মস। প্রযোজকরা শিরিয়ালটি চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও, প্রাইম টাইমে মেয়েবেলাকে রাখতে রাজি হয় না স্টার জলসা। এদিকে এত টাকার প্রোজেক্ট প্রাইম টাইম ছাড়া চালাতে রাজি হয় না সুরিন্দরও। শেষমেশ বিকেল ৫টার স্লট💝ে মে✤য়েবেলা এলেও বেঝাই যায় তা কয়েক সপ্তাহই থাকবে। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়। স্লট চেঞ্জ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ করে দেওয়া হল মৌ-ডোডো-বিথীদের গল্প।
শেষ ♔দিনের শ্যুটের পর মেয়েবেলার পরিচালক সুমন ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘অনেকদিন পরে একটা মনের মতো শো পরিচালনা করতে পেরে খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু সেটা এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি। যাই হোক, ভালো জিনিস কম হলেই ভালো। সেটা মনে থেকে যায়। আর মানুষও বিরক্ত হয় না। থ্যাঙ্ক ইউ সুরিন্দর ফিল্��মস, থ্যাঙ্ক ইউ মেয়েবেলার সমস্ত আর্টিস্টদের। থ্যাঙ্ক ইউ স্টার জলসাকে।’