আক্রান্ত হলেন বাংলাদেশের কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি। মিরাক্কেল দিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের নাটোরের রনি। অভিযোগ রয়ꩵেছে, রনিকে মারধর করা হয়। সঙ্গে ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়িও।
গতকালই এই হামলা। নাটোরের গুরুদাসপুরে আবু হেনা রনির সহ আরও চারজনের উপর হামলা চালানো হয় শুক্রবার সন্ধ্যায়। রনির দাবি, কোনওরকমে দৌড়ে পালিয়ে আসেন তাঁরা। আর সেখান থেকে 🌠পালিয়ে না এলে তাঁদের মেরে ফেলাই হত।
গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারের আদম শাহ মোড়ের পাশে একটি সিনেমা হলের সামনে 🌳এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুদাসপুর থানার ওসি মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান জানান, রনি নিজে এসেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গুরুদাসপুর 🐼থানার ওসি এদিন জানান, ‘রনি বাংলাদেশের গর্ব। ওরউপর এরকম হামলা হওয়া সত্যিই দুঃখজনক’।
প্রসঙ্গত, গত বছরও একটুর জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন রনি। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের ঢাকার গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চার বছরপূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি দগ꧟্ধ হন। বাংলাদেশের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল রনিকে।শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালির অবস্থা ছিল মারাত্মক ক্ষতিকর। সেরে উঠতে সেই সময় অনেকগুলো মাস লেগে গিয়েছিল রনির। শুধু বাংলাদেশ নয়, তাঁর দ্রুত আরোগ্যর প্রার্থনা এসেছিলে সেই সময় এপার বাংলা থেকেও। মীরাক্কেলের টিমও ছিল তাতে।
সুস্থ হয়ে রনি নিজের দেশের চিকিৎসক, পুলিশদের পাশাপাশি ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন 🐷টিম🍒 মীরাক্কেলকে। লিখেছিলেন, ‘মীর, শ্রীলেখা, রণিদা (রজতাভ দ) এত বছর পর আমাকে মনে রেখে যেভাবে খোঁজ নিয়েছে তাতে আমি আপ্লুত।’
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পুলিশ শুক্রবার রনির উপর হꦏওয়া হামলার ঘটনার তদন্তে নেমেছে। আদম শাহ মোড়ের ব্যবসায়ীদের থেকে চাওয়া হয়েছে সেই সময়ের ভিডিয়ো ফুটেজ। ব্যবসায়ীরাই জানান, সেই সময় কারেন্ট ছিল না। তাই ফুটেজ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আগের ও পরের ফুটেজ দেখেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, গাড়ি পার্কিং নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। সিনেমা দেখার জন্য তাঁরা পাঁচজন সিনেমা হলের রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করেন। রাস্তার পাশে রনিকে গাড়ি পার্ক করতে দেখে একজন হঠাৎ এসে গালাগালি শুরু করে। তিনি প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তি আরও অশালীন কথা বলে। সাবলু মোল্লা নামের সেই ব্যক্তি এরপর তাঁদের মারধর শুরু করলে স্থানীয়রা বাধা দেন। তারপর সাবুল আরও জনাকয়েক নিয়ে এসে রনিদের উপর হামলা করে। সেখান থেকে দৌড়ে পালান এরপর রনি ও তাঁর চার বন্ধু। পুলিশক💛ে ফোন করলে তাঁরা𝐆 এসে উদ্ধার করেন পাঁচজনকে।