নীলচে টি-শার্ট আর সাদা প্যান্ট পরে দাদাই-এর কোলে চড়েছে হাসিখুশি এই পুচকে। বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের হার্টথ্রব নায়ক এই ছোট্ট খুদে। মাস কয়েক হল টেলিভিশন থেকে ছুটি নিয়েছেন, কিন্তু অনুরাগীরা এখনও দিনরাত তাঁকে মিস করে চলেছেন। বড়পর্দায় অভিনয় শু♈রু করেছিলেন, তবে টেলিভিশন তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে। কী চিনতে পারলেন খুদেকে?
বুঝতে না পারলে আরেকটু খোলসা করা যাক। চলুন আপনাদের সঙ্গে কিছু ক্লু শেয়ার করেনি! অভিনয় নয়, গানই তাঁর প্রথম ভালোবাসা। নায়কের♕ গানের গলা যে দুর্দান্ত তা একবাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য আপনি। এই অভিনেতার লাভ লাইফ নিয়ে হইচইয়ের শেষ নেই। অনস্ক্রিন ‘দিদিয়া’ নাকি মন দিয়েছেন তিনি। এবার বুঝ♋েছেন তো? আরেকটু বিস্তারিত বললে, এই নায়ককে ভালোবাসে আজকাল অনেকেই উচ্ছে খেতে ভালোবাসেন।
হ্যাঁ, হ্যাঁ, একদম ঠিক ধরেছেন। এই খুদে আর কেউ নন, আট থেকে আশি, সবার প্রিয় অভিনেতা আদৃত রায়,ജ মানে মিঠাইয়ের উচ্ছেবাবু। সোশ্যাল মিডিয়ায় নামমাত্র উপস্থিতি আদৃতের। তিনি ইনস্টাগ্রামে নেই, শুধু ফেসবুকে একটি ব্যক্তিগত এবং অপর একটি ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। সেখান থেকেও মাসে একটা বা দুটোর বেশি পোস্ট করেন না।
তবে সোমবার প্রথা ভাঙলেন তিনি। গান্ধী জয়ন্তীর দিন তাঁর আদরের দাদাইয়ের জন্মদিন। দাদুর জন্মদিনে ছেলেবেলার এই মিষ্ঠি ছবি শেয়ার করেছেন আদৃত। একদৃষ্টিতে নাতির দিকে তাকিয়ে আদৃতের দাদাই, অথচ নায়কের চোখ খুঁজছে অন্যকিছু। ক্যাপশনে লেখা- ‘হ্যাপি বার্থ ডে দাদাই’। মজার ব্যাপার হল টিভির পর্দাতেও ঠাকুরদাকে দাদ💎াই বলেই সম্বোধন করত সিদ্ধ🐻ার্থ মোদক।
ছোটপর্দার সুবাদেই আদৃতের পরিচিতি, যদিও তিনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বড়পর্দাতে। ২০১৮ সালে রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনায় তৈরি ‘নূর জাহান’ ছবিতে নূরের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল আদৃতের। ঝাঁকড়া চুলের আদৃতের সুমধুর কন্ঠ মনে ধরেছিল অনেকের, তবে ছবি চলেনি। এরপর পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের ‘প্রেম আমার ২’-তেও কাজ করেন আদৃত। রাজ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ আদৃত কাজ করেছেন দেবের প🥂াসওয়ার্ড ছবিতেও। ‘পরিণীতা’তেও শুভশ্রীর অফিস কলিগের চরিত্রে দর্শক দেখেছে তাঁকে। কিন্তু সেই অর্থে স্টার তকমা পাননি তিনি। বক্স অফিসের ফ্লপ হিরো ছোটপর্দার হার্টথ্রব নায়কে পরিণত হন। এবার আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন আদৃত। অভিরূপ ঘোষালের পাগল প্রেমী ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।
গত সপ্তাহের শেষে হইচইয়ের পার্টিতে অন্তরাল থেকে প্রকাশ্যে এসেছেন আদৃত। অল ব্ল্যাক লুকে কার্পেটে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে খানিকটা সচেতন তিনি। মাস্কে ঢেকে রেখেছিলেন মুখ। ঝাঁকড়া চুল, মুখভর্তি দাড়িতে চেনা দায় ‘কর্পোরেট গাই’ সিদ্ধার্থ মোদককে। জল্পনা পাগলপ্রেমীর জন্যই এমন লুকে আদৃত। সব ঠিক থাকলে পুজোর পরেই শুরু হবে ছবির শ্যু🎀টিং।
ওদিকে কৌশাম্বির সঙ্💖গে আদৃতের প্রেমও ꦏএখন জমজমাট। পুজোয় কি আদৃতের হাত ধরে ঘুরবেন ফুলকির পারোমিতা? সেটাই এখন দেখবার।