𒐪 শোয়ের নাম ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। সম্প্রতি সেই শোয়েই এসে হাজির হয়েছিলেন টেলিপর্দার তিন জনপ্রিয় অভিনেতা। এসেছিলেন অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলাল, শমীক চক্রবর্তী ও সপ্তর্ষি রায়। আর এই তিন অভিনেতার সঙ্গে এসেছিলেন তাঁদের মায়েরা। রচনার সামনে ছেলেদের প্রেম, বিয়ে, পাত্রী দেখা নিয়ে নানান কথা বলেন এই তিন অভিনেতার মা।
☂দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে 'মিঠিঝোরা'র নায়ক শৌর্য শোনালেন তাঁর অভিনয় জীবনে আসার গল্প। 'শৌর্য' অর্থাৎ অভিনেতা সপ্তর্ষি রায় বলেন, তিনি যখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েন, তখন তাঁর বাবার হাত ধরেই নাটকের দুনিয়ায় পা রাখা। 'অবাক জলপান' নাটকে অভিনয় করেছিলেন শৌর্য। শুরুর দিকে অ্যামেচার থিয়েটার নিয়ে তাঁর আলাদা শিক্ষা ছিল না। ২০১৮ সালে তিনি কেমিস্ট্রি ও নাটকে স্নাতক হন। ২০২১-এ তিনি 'নাটক' নিয়ে মাস্টার্স করেন। এরপর কাজ করা শুরু করেন। সপ্তর্ষির মা শিখা রায় বলেন, ‘ছোট থেকে সপ্তর্ষি খুবই দুষ্টু ছিল। স্কুলের টিউব ভেঙে দিয়েছিল সপ্তর্ষি। ওর বাবা ওকে বেল্ট দিয়ে পিটিয়েছিল।’ একথায় জিভ কাটেন রচনা।
💖সপ্তর্ষি বলেন, ‘আমি এখনও মায়ের কাছে মার খাই। আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়া হলে শেষপর্যন্ত পুরো দোষটাই আমার ঘাড়ে আসে।’ রচনা তখন মজা করে বলেন, ‘সকলে শুনল সবার প্রিয় শৌর্য এখনও মার খায়!’ ফের সপ্তর্ষি বলেন, ‘ভীষণ মার খাই বাড়িতে।’
🍸শৌর্য চরিত্র করে কেমন লাগছে? রচনার প্রশ্নে সপ্তর্ষি বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে, আর যত দিন যাচ্ছে, চরিত্রের বিভিন্ন স্তর বের হচ্ছে। প্রতিটা দৃশ্যে সেভাবে এগোনো, আমি খুবই এনজয় করছি।’ রচনা অভিনেতার মা শিখা রায়ের উদ্দেশ্যে মজা করে বলেন, ‘শৌর্যর জীবনে যা চলছে, তা তো দেখাই যাচ্ছে, আর সপ্তর্ষির জীবনে কী চলছে?’ শিখা রায় জানান, তিনি জানেন না। তখন রচনা বলে ওঠেন, ‘সেকি! বলেনি? পুরো ইন্ডাস্ট্রি জানে, আর আপনি জানেন না!’ সপ্তর্ষি অবশ্য বলেন, আমার জীবনে বিশেষ বন্ধু আছে, আর সেটা মা আসলে জানে।
ꦍরচনা ফের জিগ্গেস করেন, ‘শ্যুটিং না থাকলে বাড়িতে কী করে সপ্তর্ষি?’ তখনই তাঁর মা বলে ওঠেন, ‘কিচ্ছু করেনা। বাড়িতে রান্নাবান্না তো আমিই করি, আর সপ্তর্ষিকে খাইয়েও দিতে হয়, জলটা পর্যন্ত দিতে হয়।’