দিনকয়েক আগেই ছেলের জন্ম দিয়েছেন ঋদ্ধিমা ঘোষ আর গৌরব চক্রবর্তী। দ্বিতীয়বার দাদু হয়েছেন সব্যসাচী। যদিও ছোট সন্তান অর্জুন বিয়ে করেছিলেন আগেই। তাঁর একটি মেয়েও আছে। রাজকন্যের পর রাজপুত্র এ🐽সেছে চক্🔯রবর্তী পরিবারে।
১৯৮৬ সালে বিয়ে করেন সব্যসাচী ও মিঠু চক্রবর্তী। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় গৌরবের। আর ছোট ছেলে অর্জুনের জন্ম ১৯৯০-তে। দুই ছেলেই প্রতিষ্ঠিত সিনেমার জগতে। অভিনেতা হিসেবে মন কে𝓡ড়েছেন লাখ-লাখ মানুষের। শুধু তাই নয়, দুজনেই সংসার করছেন গুছিয়ে। তবে, ছেলেরা বিয়ে করার আগে কড়া শဣর্ত রেখেছিলেন মা মিঠু। বলেছিলেন, আলাদা থাকার ক্ষমতা থাকলে তবেই বিয়ে করবে।
সন্তানকে কাছ ছাড়া করতে চান না বহু মা-বাবাই। তবে সেই পথে হাঁটেননি মিঠু। বরং ছোট থেকেই সন্ಞতানদের বুঝিয়ে ছিলেন আলাদা সংসার করার ক্ষমতা থাকলে, তবেই বিয়ে করতে। সেই কথা নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন অভিনেতཧ্রী।
মিঠু মনে করেন, আজকাল সবারই খুব ছোট ছোট ফ্ল্যট। পাশের ঘরে ছেলে বৌমার ঝগড়া হচ্ছে, শ্বশুর-শাশুড়ি তাই নিয়ে চেনশন করছে, এমন পরিবেশ চাননি তিনি। সঙ্গে ছেলে-বউমাদের নিজের মনের মতো করে গুছিয়ে সংসার💟 করার সুযোগ দিয়েছেন। বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল রেখে আসলে অভিনেত্রী বুঝেছিলেন ‘স্পেস দেওয়ার’ গুরুত্ব কতটা।
কোনওদিন ভালো শাশুড়ি হওয়ার জন্য অতিরিক্ত কিছু করেননি বলেও জানালেন মিঠু। বরং তিনি যেমন তেমনই থেকেছেন। কিন্তু দুই বউমার সঙ্গেই খুব ভালো সম্পর্ক। ছেলে গৌরব আর অর্জুনও দিন দশ পরপর মা-বাবার কাছে আসেন। তিনিও যান। সবাই মিলে চুটিয়ে ▨হইচই করেন।
বড় বউমা ঋদ্ধিমা বছরখানেক আগে মা-কে হারিয়েছেন। মিঠু মনে করেন, মায়ের জায়গা তিনি কখনই নিতꦛে পারবেন না। তবে নিজের করে কাছে টেনে নিয়েছেন তিনি। ঋদ্ধিমাকে খুব যত্ন করে সাধও খাইয়েছিলেন। মায়ের ছবি পাশে নিয়ে, শাশুড়ি মায়ের হাতেই সাধ খেয়েছিলেন ঋদ্ধিমা।
২০১৭ সালে বিয়ে করেন গৌরব আর ঋদ্ধিমা। তাঁদের সদ্যোজাত পুত্রের নাম র🌱াখা হয়েছে ‘ধীর’। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে বিয়ে করেন অর্জুন, তাঁর স্ত্রীর নাম সৃজা। স্কুল থেকেই প্রেম। তাঁদের মেয়ের নাম অবন্তিকা। বয়স বছর পাঁচ, জন্ম ২০১৮ সালে।&nbs🏅p;
সব্যসাচ🦩ীকে বিয়ের পরই অভিনয় জীবন শুরু মিঠুর। তাও আবার প্রথম সন্তান গৌরবের জন্মের পর। শ্বশুরবাড়িতে সকলেই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেই থেকেই আগ্রহ জন্মায়। ꦛসিনেমা থেকে টিভি, কাজ করেছেন চুটিয়ে। তিনি বর্তমানে কাজ করছেন হরগৌরী পাইস হোটেলে।