অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন মৃণাল সেনের 'মৃগয়া'র হাত ধরে। আর জীবনের প্রথম ছবিতেই মিলেছিল জাতীয় পুরস্কার। সেরা অ෴ভিনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর বলিউডে গিয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যান মিঠুন। ১৯৮২ সালে তাঁর 'ডিস্কো ডান্সার' ছবিটি পেয়েছিল অভাবনীয় সাফল্য।
মিঠুনের ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবিটি গোটা বিশ্বব্যাপী সাফল্য পায়। ৮০-র দশকে দাঁড়িয়েও ১০০🅘 কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল 'ডিস্কো ডান্সার'। হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন। আজকাল বলিউডের কোনও ছবি বক্স অফিসে ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকলে তা নিয়ে চর্চা হয়। তবে আজ থেকে তিন দশক আগেই ১০০ কোটির🦩 ব্যবসা করে চমকে দিয়েছিল 'ডিস্কো ডান্সার'। সম্প্রতি সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন মিঠুন।
সম্প্রতি বলিউড হাঙ্গামাকে এক সাক্ষাৎকার দেন মিঠুন চক্রবর্তী। বলেন, 'আজকাল কোনো ছবি ১০০ কোটি টাকার কম ব্যবসা করলে মনে হয় সেটা ফ্লপ হয়ে গিয়েছে। সেই সময়, যখন ডিস্༒কো ডান্সার ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। আমি অবাক হয়ে ভেবেছিলাম, ‘ইতনা পয়সা, বাপ রে! (এত টাকা, বাপ রে!)’
আরও পড়ুন-আমি তো ‘সুন্দরী মাছওয়াল☂ি’, বেশ কিছু দিন মাছবাজারের ওই গন্ধ শুঁকেছি: ঐন্দ্রিলা
সেসময় ৫০, ৫৫ কোটি টাকার ব্যবসা করলেই কোনও ছবিকে ব্লকবাস্টার ধরা হত, তবে আজ, এই টাকারও কোন মূল্য নেই। আজ একটা ছবি ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও সেটাকে অনেকক্ষেত্রে ফ্লপ বলা হয়। মিঠুনের কথায়, ‘তখন যদি কোনও ছবি ৩-৫𒉰 কোটি টাকা আয় করত, তখনই সেটাকে ব্লকবাস্টার বলা হত। আর যদি কোনও ছবি গোটা দেশে ৫০-৫৫ কোটি টাকার ব্যবসা করত সেটাকে একটা অবিশ্বাস্য সংখ্যা হিসাবে মনে করা হত। আর এখন, যদি কোনও ছবি ১০০ কোটি না পার করে, তাহলে লোকজন ভাবে, চলো ঠিক আছে মোটামুটি। আজকাল টাকার দাম নেই।’
ফোর্বসের রিপোর্ট অনুসারে, ডিস্কো ড্যান্সার মুক্তির পর ১২০ ম𒐪িলিয়নেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল, এটাই ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়া প্রথম ভারতীয় ছবি। শুধু দেশে নয়, বিদেশে ছিল এই ছবি হিট। এমনকি মিঠুনের এই ছবিটি মধ্য-এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ, রাশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক এবং পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকাতেও হিট হয়েছিল।
প্রসঙ্গত ডিস্কো ডান্সার ছিল, মুম্বইয়ের এক বস্তির ছেলে, যে কিনা রাস্তায় পারফর্ম করত, তার খ্যতনামা হয়ে ওঠার গল্প। 🐭যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর নাচের স্টেপস আজও জনপ্রিয়।